নিজস্ব প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর বাজারের মাধবী মেডিকেল হলের স্বত্বাধিকারী আশিষ সরকারের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় প্রকাশ্যে নিজের ফার্মেসীতেই সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে নাচানাচির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিনিয়ত আশিষের এমন কর্মকান্ডে আশপাশের ব্যবসায়ীরাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এ নিয়ে পার্শ্ববর্তী জামাল মেডিসিন কর্নারের স্বত্বাধিকারী ভুক্তভোগী জামাল হোসেন বাদী হয়ে বুধবার (৯ এপ্রিল) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আশপাশের ব্যবসায়ী ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের স্বরুপপুর গ্রামের ভবেশ সরকারের ছেলে আশিষ সরকার সিংগাইর পৌর বাজারে মাধবী মেডিক্যাল হল নামে ফার্মেসী দিয়ে ওষুধের ব্যবসা করে আসছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে নিজের ফার্মেসীতেই ব্যবসার পাশাপাশি তিনি প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে নেশাজাতীয় খাবার খেয়ে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে নাচানাচি করেন। তার এসব কর্মকান্ডে আশপাশের ব্যবসায়ীরা রীতিমতো হতবাক ও অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মদ্যপ অবস্থায় গান বাজিয়ে নাচতে শুরু করে সে। এ সময় পার্শ্ববর্তী ওষুধ ব্যবসায়ী জামাল হোসেন নিষেধ করলে তাকে উল্টো গালিগালাজ করে এবং মারধর করতে উদ্যত হয়। পরে আশপাশের লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ছাড়া জামাল মেডিসিন কর্নারে অগ্নিসংযোগ ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
আশপাশের একাধিক ব্যক্তি এবং ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি অভিযোগ করে বলেন, আশিষ মাঝেমধ্যেই তার ফার্মেসীতে এমন কর্মকান্ড করে থাকে। রোজার মাসও বাদ যায়নি। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ওষুধ কোম্পানির একাধিক প্রতিনিধিকেও হাত কেটে নেয়ার হুমকিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে আশীষ সরকার। এতে থানায় অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে তাকে। তারপরও আশীষের এমন কর্মকান্ড থেমে নেই। ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযুক্ত আশিষ সরকার মদ্যপ অবস্থায় উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে নাচানাচির কথা অস্বীকার করেন। থানায় অভিযোগ দায়ের নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, পুলিশ এসে একতরফা তদন্ত করে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
