ঝিনাইদহ থেকে ৩৯৮ বস্তা আটা ও ট্রাক উদ্ধার, আটক ২

Posted on March 28, 2025

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে প্রতারণার মাধ্যমে ৩৯৮ বস্তা আটা ও একটি ট্রাক আত্মসাৎ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আত্মসাৎকৃত মালামালসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ১৯ হাজার ৯০০ কেজি আটা। আটার বাজারমূল্য আনুমানিক ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা এবং ১১ লাখ টাকা মূল্যের একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।

শেরপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) উপজেলার গড়েরবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মো. কাওছার আহম্মেদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পেশায় একজন ট্রাক মালিক। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার মালিকানাধীন ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৮৭০১ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি ট্রাক চালক মো. বেলাল হোসেন ও হেলপার মো. মোস্তফার কাছে ভাড়ায় পরিচালনার জন্য দেন। ২৪ মার্চ দুপুরে দড়িমুকন্দ বাজার থেকে জনৈক শামীম শেখের কাছ থেকে ৩৯৮ বস্তা আটা লোড করে নন্দীগ্রাম কোয়ালিটি ফিড মিলে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা মালামাল গন্তব্যে না পৌঁছে আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে যায়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কাওছার আহম্মেদ বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২৭ মার্চ রাত ৩টা ৩০ মিনিটে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর থেকে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন— মো. বেলাল হোসেন (৪০), পিতা-মৃত আ. গনি শেখ এবং মো. মোস্তফা (৩৮), পিতা-মো. আজগর হাজী; দুজনেই বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাসিন্দা।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করি। তথ্যপ্রযুক্তি এবং সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সফল অভিযানে মালামাল উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।