গুম কমিশনের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ মাস

Posted on March 18, 2025

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেই হিসাবে সময় বাড়ল আরও ৩ মাস। 

সোমবার (১৭ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার কমিশনস অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬ এর সেকশন ৩ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উক্ত অ্যাক্টের অধীন গত ১৫ সেপ্টেম্বর জারিকৃত প্রজ্ঞাপন (এসআরও নম্বর-৩১২-আইন/২০২৪) দ্বারা গঠিত গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করল। এই প্রজ্ঞাপন ১৫ মার্চ হতে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে।

‘কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুযায়ী ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গুমের ঘটনা তদন্তে গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন করেছিল সরকার। পরে ১৫ সেপ্টেম্বর কমিশনের দায়িত্বে ও প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমায় পরিবর্তন আনা হয়।

হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও তা একদফা বাড়িয়ে ১৪ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২৭ অগাস্ট গঠিত এ কমিশন কাজ শুরুর পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। গত ৫ নভেম্বর কমিশন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, কমিশনে গুমের ১ হাজার ৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে তারা ৩৮৩টি অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক যাচাই করেছেন। এসব অভিযোগের মধ্যে র‌্যাবের বিরুদ্ধেই ছিল সবচেয়ে বেশি ১৭২টি। অভিযোগের বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

গুম কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রথমে গত ২৭ অগাস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপনে প্রতিবেদন জমা দিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

নতুন প্রজ্ঞাপনে কমিশনের উদ্দেশ্য ও দায়িত্বে পরিবর্তন আনে সরকার। তবে পাঁচ সদস্যের কমিশন রাখা হয় আগের মতই।

এ কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ‌মইনুল ইসলাম চৌধুরী। কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।