ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে স্কুলছাত্রীকে ব্লাকমেইল, আটক ১

Posted on March 10, 2025

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরের ধনকুন্ডি এলাকায় স্কুল ছাত্রীকে ব্লাকমেইল করে ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষক মো. সুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক সুজন (২০)কে গ্রেফতার করেছে। সে সিমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের ইজাব আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের আরজিনা বেগম ওমেরা গ্যাস কোম্পানির লোকদের তার বাড়ি থেকে রান্না করে খাওয়াতেন। সেই সুবাদে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা এলাকার সৈয়দ আলী সরকারের ছেলে তাজুল ইসলামের সেই বাড়িতে যাতায়াত ছিল। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে আরজিনা খাতুনের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তাজুল ইসলাম। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ আগস্ট আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে স্কুল ছাত্রীর শয়ন কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। উক্ত ধর্ষণের ঘটনাটি স্কুল ছাত্রীর অগচরে সিমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের মো. এজাব আলীর ছেলে মো. সুজন মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। পরবর্তীতে সুজন উক্ত ভিডিও ওই ছাত্রীকে দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজী না হলে গত ৫ অক্টোবর আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে তার মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দিবে মর্মে সুজনও তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে স্কুল ছাত্রীর ওই ভিডিও সুজন তার সহযোগী একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সুলতান, মৃত কুদ্দুসের ছেলে মো. রুবেল ও হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুর সহযোগীতায় তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষাথীর মা আরজিনা খাতুন বাদি হয়ে ৮ মার্চ শনিবার রাতে শেরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ধর্ষক মো. সুজন কে আটক করে থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে ২ নং আসামী সুজন কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।