চকরিয়ায় ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ১

Posted on October 25, 2023

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় হামুন’র প্রভাবে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অন্তত ৫ শত কাঁচাঘর ভেঙ্গে গেছে। উপড়ে গেছে গাছপালা ও ঘেরাবেড়া। পানির তোড়ে ব্রীজ ও কালভার্ট ভেঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী ৩০-৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের টিনের চালা উপড়ে যায়।

মঙ্গলবার রাতে হামুন’র প্রায় ২ ঘন্টার দমকা হাওয়ায় এই ব্যাপক ক্ষতি হয়। একইভাবে দমকা হওয়ার পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন ছড়াখাল দুইকূল পানিতে উপছে পড়ে একাধিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে ভেস্তে যায়। বরইতলী ইউনিয়নের সোনাইছড়ি ছড়াখালের পানি উপচিয়ে চাঁন্দের বাপের সড়কের এক কিলোমিটার ভেঙ্গে বিলিন হয়ে পড়ে।

এদিকে বিদ্যুতের শতাধিক খুটি উপড়ে ও ভেঙ্গে গিয়ে, খুটির উপর গাছ পড়ে সঞ্চালন তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে দুই উপজেলা। গাছ চাপা পড়ে বদরখালী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড গোরস্থান পাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে আসকর আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘরের উপর গাছপালা পড়ে ২০-২৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে রাতে প্রায় ২ ঘন্টার তান্ডবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ১০ স্থানে গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়। এ সময় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। দুর্ভোগে পড়ে পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীরা। সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, চিরিঙ্গা-মানিকপুর সড়কের মানিকপুর ফাইতংছরা ব্রীজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, হামুন’র প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ক্ষতির বিবরণ লিখিত দিতে। সরকারী অফিসারদের নিয়ে গঠিত একাধিক টিম ক্ষতির পরিমান নিরুপণে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ৫ শত কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।