নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধন তৈরিতে জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ায় শামসুল হক নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অপরজন উদ্যোক্তা সুমন আহমেদকে তার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ফাহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির জন্মনিবন্ধনে বয়স ১৭ থেকে বাড়িয়ে ২২ বছর করে সনদ দেয়ার দায়িত্ব নেয় শামসুল হক। তিনি এটি তৈরি করার জন্য জমা দেন ওই ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত উদ্যোক্তা সুমন আহমদের কাছে। পরবর্তীতে ভুয়া শিক্ষাগত সনদ ও ইউপি মেম্বার মোঃ আবুল বাশারের স্বাক্ষর জাল করা আবেদনটি সায়েস্তা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল ছালেকের কাছে নিয়ে যান। তিনি যাচাই-বাছাই করতে গেলে এ জালিয়াতি ধরা পড়ে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদটিও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ভুয়া প্রমাণিত হয়।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহাগের ভ্রাম্যমান আদালতে সনদ জালিয়াতি ও স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি জড়িতরা স্বীকার করে লিখিত দেয়। এ সময় প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় শামসুল হককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। সেই সঙ্গে জালিয়াতি করে জন্মনিবন্ধন তৈরির কাজে সহযোগিতা করার জন্য উদ্যোক্তা সুমন আহমেদকে তার কার্যক্রম থেকে বাদ দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত শামসুল হক ওই ইউনিয়নের মোসলেমাবাদ গ্রামের জিয়ারত প্রামাণিকের ছেলে।
এ ব্যাপারে সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, এ প্রতারণার বিষয়টি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার নেতৃত্বে কৌশলে ধরা হয়েছে। জড়িত শামসুল হককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এ কাজে সহযোগিতার জন্য উদ্যোক্তা সুমন আহমেদকে তার কার্যক্রম থেকে বাদ রাখা হয়েছে।