ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাসে সিট ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন শিক্ষকসহ উভয় পক্ষের একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার সময় বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে আল ফিকহ বিভাগের ১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব এবং আইন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সুমন গাজী বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সুমনের ঠোঁট ফেটে যায়।
পরে বাসটি ক্যাম্পাসে পৌঁছালে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা চাইলে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান। কিন্তু আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঐ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীর শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ জানালে অনুষদ ভবনের সামনে অপেক্ষারত শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রাত বারোটার দিকে উভয় পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ও দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, আল হাদিস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও আল হাদিস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে আঘাত ও আহতের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা৷ তারা এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘বাসে সিট ধরা থেকে শুরু করে ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে কমিটির প্রস্তাব করেছি। আগামী মঙ্গলবারে জানা যাবে কে কে দায়িত্বে থাকছেন।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘এবিষয়ে এখন মন্তব্য করতে পারছি না। তদন্ত কমিটি হচ্ছে। তদন্তের পর জানা যাবে কারা জড়িত।’