অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : তিন দিনের ব্যবধানে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভরিতে ২ হাজার ৯৯ টাকা বাড়িয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশের বাজারে মোট চারবার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এতে ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৬ হাজার ৬০২ টাকা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা নির্ধারণ করা হলো, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৭ হাজার ৪৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস আরও জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকেই কার্যকর হবে।
এর আগে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভরিতে ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। সে সময় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা ৩০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছিল।
তবে নতুন দর অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ৯৭ হাজার ৪৭৬ টাকা।
সবমিলিয়ে চলতি বছর মোট চারবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এরমধ্যে প্রতিবারই বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। এর আগে ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। এরমধ্যে ৩৫ বার বাড়ানো হয় স্বর্ণের দাম। এছাড়া বিদায়ী বছরে ২৭ বার স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছিল।
শনিবার স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ১ হাজার ৫৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।