ইউসিবির শাখা ব্যবস্থাপকদের সভায় আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার অঙ্গীকার

Posted on January 25, 2025

কর্পোরেট ডেস্ক : প্রায় ৫ বছর পর ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) শাখা ব্যবস্থাপকদের নিয়ে রাজেন্দ্রপুর ব্র্যাক সিডিএমে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিনদিন ব্যাপী বার্ষিক ব্যবসায়িক সভা।

২৩-২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই সভায় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা ব্যাংকিং খাতে চলমান আর্থিক চ্যালেঞ্জ এবং ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। 'সবাইকে ছাড়িয়ে এগিয়ে চলার অঙ্গীকার' স্লোগান নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দেশের ২৩১টি শাখার ব্যবস্থাপকরা একত্র হয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে বিশেষভাবে উজ্জীবিত হয়েছেন।

এই সম্মেলনটি একদিকে যেমন শাখা ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও একে অপরের সৃজনশীল চিন্তাধারা শেয়ার করার সুযোগ তৈরি করেছে, তেমনি ব্যাংকিং সেক্টরে সম্প্রতি হওয়া ডিজিটাল রূপান্তর ও সেবার আধুনিকায়নের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ইউসিবির চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা এবং তরুণ উদ্যোক্তা শরীফ জহির এই সময় বলেন, "আমরা ইউসিবিকে দেশের এক নাম্বার ব্যাংক বানাতে চাই। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে ইউসিবি পরিচালিত হবে। দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আমাদের ব্যাংক সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা ও আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশন এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির দিকে আরও গুরুত্ব দেব।"

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেন, "আমরা গ্রাহক এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। ইউসিবি দেশের তৃতীয় বৃহৎ আমানতকারীর ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মিল রেখে আমরা দেশীয় বাজারে আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হব।"

এই সম্মেলনে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে আগামী এক বছর এবং ৫ বছরের জন্য ব্যাংকিং কর্মকৌশল, লক্ষ্য এবং নতুন কর্মপকল্পনা নির্ধারণ করা হয়, যা ব্যাংকের ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে উদ্যোক্তারা আশাবাদী।

উল্লেখ্য, ইউসিবি গ্রাহক আস্থা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। আর্থিক খাতে সংকটের সময়েও গত ৬ মাসে ইউসিবির কোনো গ্রাহকের চেক বাউন্স হয়নি, যা ব্যাংকটির আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সুশাসনের দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত।