সিরাজগঞ্জে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

Posted on January 21, 2025

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারির নিজস্ব জমিতে অবিলম্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবীতে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শাহজাদপুর পৌর সদরের দ্বারিয়াপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩ এর সামনের বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শুরু করে।

দুপুর আড়াইটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ বিক্ষোভ চলছিল। তাদের দাবী স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা এ অন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওশিন মাইসা, হৃদয় সরকার, শামীম হাসান, হাবিব, জাকারিয়া, বায়জিদ, স্বপন, জাহিদ, সমুদ্র, মেহেদী, মমিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির বয়স ৮ বছর পাড় হলেও এখনও বিভিন্ন স্থানে ভাড়া ভবনে প্রশাসনিক কাজ ও একাডেমিক পাঠদান চলছে।

বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ও নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর অধ্যয়ন ব্যহত হচ্ছে। এতো পরিমাণ শিক্ষার্থীদের জন্য নাই স্থায়ী ক্যাম্পাস। এর আগের ২ জন ভিসি নানা জটিলতায় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি। ফলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সহ প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফলে এ থেকে তারা পরিত্রাণ পেতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল জটিলতা কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস ও আবাসন নির্মাণের জোর দাবী জানান। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস ও আবাসন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনটি যৌক্তিক আন্দোলন। তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে ও করেই যাচ্ছে অথচ এখনও ক্যাম্পাস ও নিজস্ব ভবন নির্মাণ হয়নি। জায়গাটা অধিগ্রহণ করা আছে। এই মূহুর্তে আমরা যাদি কাজ করতে চাই তবে করা যাবে। এই প্রেক্ষিতে বর্তমান প্রশাসন সরকারের কাছে সংশোধিত জিপিপি জমা দিয়েছে। এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কাজ করছে। তারা এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

আগামী ২৮ তারিখে মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে মিটিং আছে। এ মিটিংয়ে যদি অনুমোদন হয় তবে আমরা আশাকরি এ বছরের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে। নানা কারণে গত ৭ বছর এ কাজ হয় নাই। এ জন্য তারা অনেক ক্ষেত্রে বিরক্ত ও অসন্তষ্ট প্রকাশ করেছে। তারই এই বহিপ্রকাশ আজকের দেখা যাচ্ছে। আমি আশা করবো বিশ্ববিদ্যায়ল মঞ্জুরি কমিশন, কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয় ও সরকার বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় এনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের ব্যবস্থা করবেন।