যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প

Posted on January 21, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয় বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় তিনি এই শপথ গ্রহণ করেন। খবর রয়টার্সের।

সাধারণত ক্যাপিটল হিলের কংগ্রেস ভবনের সামনের খোলাস্থানেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তবে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে যাওয়ায় এবার তা কংগ্রেস ভবনের ভেতরে, ক্যাপিটল রোটুন্ডায় হয়েছে। এই ভবনেই আজ থেকে আট বছর আগে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প একটি বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথবাক্য পাঠ করেছেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। শপথ বাক্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে শপথ করছি যে আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব এবং আমার সর্বোচ্চ ক্ষমতায় সংবিধান সংরক্ষণ করব, নিরাপদ রাখব ও রক্ষা করব।’

এর আগে গত নভেম্বরে ডেমোক্রাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বিপুল ভোটে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ট্রাম্প। তারপর আজ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন।

ট্রাম্প অনুষ্ঠানস্থলে আসার আগে সেখানে উপস্থিত হন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সাবেক ফার্স্ট লেডি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও সাবেক ফার্স্ট লেডি লরা বুশ এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, ছোট ছেলে ব্যারন ট্রাম্প, টিফানি ট্রাম্প, লারা ট্রাম্প, এরিক ট্রাম্প, জ্যারেড কুশনার, ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র।

বিদেশি অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেইসহ আরও অনেকে।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন শীর্ষ ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তিবিদরাও। অনুষ্ঠানে দেখা মিলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং তার প্রেমিকা লরেন সানচেজের। ক্যাপিটল ভবনে অতিথিদের আসনে আছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ট মিত্র ইলন মাস্কও।

বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন ইস্যুতে তার কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত অনেকেই এবার তার সঙ্গে দেখা গেছে।

ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে এই শীর্ষ ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তি নেতাদের উপস্থিতি নতুন প্রশাসনের সঙ্গে করপোরেট বিশ্বে সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

হোয়াইট হাউজে যাওয়ার আগে ট্রাম্প এবং ভ্যান্স পরিবারসহ ওয়াশিংটনের সেন্ট জন’স চার্চ-এ প্রার্থনা সার্ভিসে অংশগ্রহণ করেন।