চলো হাঁটি: Let's Walk-Walkathon 2025

Posted on January 9, 2025

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : ঢাকার সড়কে ৫ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন পাবলিক পলিসি রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ইউএইচসি ফোরামের আহ্বায়ক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দিন।

সম্প্রতি ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আয়োজন করা হলো চলো হাঁটি: Let's Walk - Walkathon 2025”. রবীন্দ্র সরোবর থেকে হাঁটা শুরু করে জিগাতলা-শংকর-ধানমিন্ড ২৭ হয়ে আবার রবীন্দ্র সরোবরে এসে ওয়াকাথন শেষ হয়। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সক্রিয় জীবনের বার্তা নিয়ে এই ওয়াকাথনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন পাবলিক পলিসি রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ইউএইচসি ফোরামের আহ্বায়ক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। এ সময় Guest of Honor হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দিন।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সক্রিয় জীবনের বার্তা নিয়ে এবার হাঁটা কর্মসূচি পালিত হয়েছে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় যেখানে ৩ শতাধিক মানুষের সঙ্গে ৫ কিলোমিটার পথ হাঁটেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দিন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

হাঁটা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র ও মেডেল বিতরণ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, "হাঁটাহাঁটি শুধু শারীরিক সুস্থতার নয়, বরং মানসিক প্রশান্তিরও চাবিকাঠি, আমাদের গড় আয়ু বাড়লেও জীবনের শেষ ১৫/২০ বছর আমরা বিভিন্ন অসংক্রামক রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়ে কোয়ালিটি অফ লাইফ থেকে দূরে থাকি”।

সমাজে সুস্থ, সক্রিয় জীবনধারা গড়ে তুলতে এই ধরনের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, "হাঁটাহাঁটির এই সামাজিক আন্দোলনে অসংক্রামক রোগবালাই প্রতিরোধে, সর্বসাধারণের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সুস্হ সমাজ ও দেশ গড়তে আমার সক্রিয় সমর্থন সবসময়ই থাকবে।"

এ সময় চলো হাঁটি ওয়াকাথনের আয়োজক "লেটস ওয়াক" এর ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অনুপম হোসেন জানান, ঢাকা শহরে চারটি অঞ্চলে ওয়াকাথন আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে লেটস ওয়াকের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করা হবে ওয়াকাথন।

পাশাপাশি হাঁটাহাঁটির গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং শারীরিক-মানসিক সুস্থতার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এই আয়োজন। সার্বিকভাবে, এই ওয়াকাথন জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ এবং সচেতনতা ছড়িয়েছে।

এই মূল আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল হাঁটাহাঁটির গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং শারীরিক-মানসিক সুস্থতার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানো। সার্বিকভাবে, এই ওয়াকাথন জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনের দৃঢ় আকাঙ্খা জাগ্রত রাখার লক্ষ্য রেখে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ এবং সচেতনতা ছড়িয়েছে।