আলোচিত সেই পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা বরখাস্ত

Posted on December 30, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার সানজিদা আফরিনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বর্তমানে তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে সানজিদাকে বরখাস্ত করার বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সানজিদাকে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্তকালে তিনি বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ। কিন্তু ওই প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার আগেই বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ দাবি করেছেন, তিনি সানজিদা আফরিনের নির্দেশে এই কাজটি করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীর আরিফকেও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এডিসি সানজিদা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এ রকম আলোচিত মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সিদ্ধান্তের এখতিয়ার তার নেই।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটক করা ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে মারধরের ঘটনায় আলোচনায় আসেন এডিসি সানজিদা আফরিন। গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী সানজিদা আফরিন চিকিৎসা নিতে বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে তিনি সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুন অর রশিদের সহায়তা নেন। কিন্তু সন্দেহের জেরে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে আসেন তার স্বামী আজিজুল।

সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে আজিজুল হকের কথা কাটাকাটি ও ধরাধরির মতো ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওইদিন মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন এডিসি হারুন। ওই ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ভিড় করেছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ এই মারধরে নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।