রাইট শেয়ারের মূল্য কমালো কনফিডেন্স সিমেন্ট

Posted on December 22, 2024

পুঁজিবাজার ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে রাইট শেয়রের ইস্যু মূল্য ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির পর্ষদ ৩৫ টাকা প্রমিয়ামসহ প্রতিটি রাইট শেয়ার ৪৫ টাকায় ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড নামে এক সহযোগী কোম্পানিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি মেয়াদি ঋণ পরিশোধের জন্য রাইট শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন বাড়াতে কোম্পানি জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি রাইট শেয়ারের ইস্যু মূল্য হবে ৩৫ টাকা। এজন্য বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেয়ার পাশাপাশি বিএসইসির কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাইট শেয়ার ইস্যু সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট বিনিয়োগকারীদের জানানো হবে।

এদিকে কেম্পানিটি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে এবং রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের সমাপ্ত বছরের কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮.৭৩ টাকা যা ২০২৩ সালে ছিল ৩.৩১ টাকা, ২০২২ সালে ছিল ১.৪৩ টাকা, ২০২১ সালে ছিল ১৫.৮৬ টাকা ও ২০২০ সালে ছিল ৮.৩০ টাকা।

কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২৪ সালে ৭৪.৭৫ টাকা যা ২০২৩ সালে ছিল ৬৯.৮৯ টাকা, ২০২২ সালে ছিল ৭২.২৪ টাকা, ২০২১ সালে ছিল ৭৪.২৬ টাকা ও ২০২০ সালে ছিল ৬৬.৭৩ টাকা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২৪ সালে নগদ ১০ শতাংশ, ২০২৩ সালে নগদ ৫ শতাংশ ও ৫ শতাংশ স্টক, ২০২২ সালে নগদ ৫ শতাংশ ও ৫ শতাংশ স্টক, ২০২১ সালে নগদ ২৫ শতাংশ ও ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোম্পানিটি ১০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৯৯৫ সালে তালিকাভূক্ত হয়েছে। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ৮৬ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার ৮ কোটি ৬২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯০ টি।

ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ি ৩০ নভেস্বর ২০২৪ ইং তারিখে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৩০.৩৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৩৭.৩৮ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে বাকি ৩২.২৮ শতাংশ শেয়ার।