সিংগাইর হাটে জমে উঠেছে শীতের গরম কাপড় বেচাকেনা

Posted on December 13, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েকদিনেই ঝেঁকে বসেছে শীত। দিনের বেশিরভাগ সময়ই দেখা নেই সূর্যের। শীতের তীব্রতা বাড়ায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর হাটে জমে উঠেছে শীতের গরম কাপড়ের বেচাকেনা। বেড়েছে শীতের পোশাকের চাহিদা। নতুন-পুরাতন শীতের কাপড়ের পরসা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। দোকানগুলোতে ৫০ টাকা থেকে হাজার টাকার মধ্যে সাধ্যনুযায়ী কাপড় বিক্রি হয় বলে ভিড় জমাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

সরেজমিনে জানা যায়, সিংগাইর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও রবিবার খোলা আকাশের নিচে বসে এই হাট। ঐতিহ্যবাহী হাটের গরম কাপড়েরই এখন স্থানীয় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ভরসা। দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পুরাতন কাপড়ের এই হাটটি। হাটে পুরাতন গাইডের বিদেশী জ্যাকেট, হুডি, সোয়েটার ছাড়াও গেঞ্জি, প্যান্ট ও নতুন সব ধরণের শীতের পোশাক পাওয়া যায়।

সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর গ্রামের কফেল উদ্দিন জানান, শীত বাড়ছে তাই ছেলেকে নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে আসছি। আমরাতো মার্কেটে গিয়ে দামের জন্য কিনতে পারিনা। এখানে কম দামে মোটামোটি ভালো পোশাক পাই। ছেলের জন্য একটা জ্যাকেট কিনলাম ১৫০ টাকা দিয়ে। দাম কম হওয়ায় ছেলের মার জন্যও একটা সোয়েটার নিলাম। আমরা দিন আনি দিন খাই। এই কাপড়ই আমাদের ভরসা।

কানাইনগর গ্রামের গৃহবধূ সালেহা বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চার বয়স দেড় বছর। শীত পড়া শুরু করেছে। ছোট বাচ্চার জন্য গেঞ্জি ও প্যান্ট কিনতে এসেছি। এখানে যা কিনেছি ২৫০ টাকায়। এগুলো মার্কেট থেকে কিনতে গেলে ৫০০ টাকার ওপরে লাগতো। সাশ্রয়ের জন্য এখান থেকে কিনলাম। আমার মতো অনেকেই এখান থেকে শীতের কাপড় কিনছেন।

হরিণধরার ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল বলেন, শীতের সময় আমরা এ হাটে দোকান নিয়ে আসি। বিক্রি মোটামোটি ভালোই হয়। গতবারের তুলনায় দোকান প্রায় দুইগুন বেড়েছে।তবে অন্যান্য হাটের থেকে খাজনা একটু বেশি। ১০০ টাকা খাজনা দিয়েছি সাথে ঝাড়ুদার ২০ টাকা।

হেমায়েতপুরের ব্যবসায়ী মোঃ ফজর আলী বলেন, প্রায় ৩ বছর হলো এই হাটে গাইট কাপড় বিক্রি করি। গত বছরের তুলনায় এবার অনেক দোকান বেড়েছে। পুরাতন গরম কাপড়ের চাহিদা ভালো। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

সাভারের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, ভালো মাল বেশি দামে কিনে আনছি। কাস্টমার মালের দাম অনেক কম বলে। তিন চার বছর ধরে এই হাটে পুরাতন কাপড় বিক্রি করি।আগের বছরের থেকে বেচাকেনা কম। তবে ধীরে ধীরে ক্রেতা বাড়ছে।

সিংগাইর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী শহিদুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী হাটটি অনেক পুরোনো। সপ্তাহে দুই দিন স্কুলের মাঠে এখানে হাট বসে। হাটে বর্তমানে কাপড়ের বিক্রেতারাই বেশি। চাহিদা বেশি হওয়ায় বিক্রিও হচ্ছে অনেক।