৬ ঘন্টা পর ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

Posted on December 10, 2024

শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বাংলাদেশে কথিত হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতের উত্তর২৪ পরগনার ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরের প্রধান সড়ক আটকে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভারতীয় সনাতনী হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগে দু’দেশের মধ্যে বানিজ্য বন্ধের দাবিতে এ অবরোধের ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার বিরোধী দলীয় নেতা ও বিজিপি’র বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বাংলাদেশের ভোমরা ও ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরের সকল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে দুই দেশের কাঁচা মাল আমদানি রপ্তানিকারকরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। পন্য আমদানি রপ্তানি বন্ধের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারসহ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম ছিলো বন্ধ। এদিকে সিমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করতে দেখা গেছে। তবে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা পর বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পূনরায় চালু হয়আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। একই সাথে যাত্রীপারাপার ও স্বাভাবিক হয়।

ভোমরা স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এ বন্দর দিয়ে দৈনিক ২শ-৩শ ট্রাকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। বর্তমানে পাথর, চাউল, আদা ও পেঁয়াজের ট্রাক বেশি আমদানি হচ্ছে। আর অল্প পরিমানে রপ্তানি হচ্ছে জুস, রাইস তৈল ও গার্মেন্টস সামগ্রী।

এ দিকে ইমিগ্রশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত বাংলাদেশ ও ভারতগামী যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের খবর তাদের কাছে না থাকায় বাড়ি থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে পাটকেলঘাটার আবেদ আলী বলেন, ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের খবরতো আমার জানা ছিলনা। তাই এসেছি। ভোমরাতে এসে দেখি ইমিগ্রেশন বন্ধ। ফেরত যাওয়া ছাড়া পথ নেই!

ভোমরা স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী দীপঙ্কর ঘোষ জানান, বাংলাদেশের সাথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার বিরোধী দলীয় নেতা। এর অংশ হিসেবে ঘোজাডাঙ্গায় প্রধান সড়কে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ হয়। এতে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম বলেন, অবরোধ উঠে যাওয়ার আশা করছি আজ বিকেলেই। তখন হয়ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।