পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পুনরায় আবেদন করবে স্যালভো কেমিক্যাল

Posted on December 8, 2024

পুঁজিবাজার ডেস্ক: পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবারো আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের স্যালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটি নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূলধন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এর জন্য কোম্পানিটি শেয়ার ইস্যুর নতুন মূল্য ১৬ টাকা (৬ টাকা প্রিমিয়ামসহ) নির্ধারণ করেছে।

তথ্য অনুসারে, স্যালভো কেমিক্যাল এ বছরের ২৩ মে ১০ টাকা অবহিত মূল্যে ৬ লাখ ৪ হাজার সাধারন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর পরিকল্পনা জানিয়েছিল। এজন্য কোম্পানির বিদ্যমান উদ্যোক্তা পরিচালকদের অনুকূলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু করে নগদ টাকা সংগ্রহের কথা ছিল। কিন্তু মূলধন বাড়ানোর পরিকল্পনায় সম্মতি দেয়নি বিএসইসি।

ডিএসইর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের সমাপ্ত বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৬৬ টাকা যা ২০২৩ সালে ১.৪৯ টাকা, ২০২২ সালে ছিল ১.৯৮ টাকা, ২০২১ সালে ছিল .৩৪ টাকা ও ২০২০ সালে ছিল .৩০ টাকা।

আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনভি) হয়েছে ১৬.২৪ টাকা যা ২০২৩ সালে ছিল ১৪.৯২ টাকা যা ২০২২ সালে ছিল ১৪.৫৮ টাকা, ২০২১ সালে ১২.৬৯ টাকা, ২০২০ সালের ১২.৪৬ টাকা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২৪ সালে ২.৫০ শতাংশ নগদ, ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ২ শতাংশ নগদ ও ২০২০ সালে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

কোম্পানিটি ১৫০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২০১১ সালে তালিকাভূক্ত হয়। কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ৬৫ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং মোট শেয়ার ৬ কোটি ৫০ লাখ ২২ হাজার ৭৯৩ টি।

ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ি, ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ২৫.১৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৭.৫৪ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৬৭.২৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এছাড়া ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত বছরে কোম্পানির শর্ট টার্ম লোন ছিল ৬১ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং লং টার্ম লোন ছিল ৫২ কোটি ২৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। একই সময় কোম্পানিটির রিসার্ভ অ্যান্ড সারপ্লাস ছিল ৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

সূত্র মতে, গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার দর উঠানামা হয়েছে ২২.৩০ টাকা থেকে ৬৫.৫০ টাকার মধ্যে। গতকাল সমাপনি দর ছিল ২৪.৩০ টাকা ও আজকের ওপেনিং ছিল ২৪.৬০ টাকা।

২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি বর্তমানে ’বি’ ক্যাটাগরির অবস্থান করেছে।