ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের লেনদেন শুরু

Posted on October 17, 2023

কর্পোরেট ডেস্ক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের উদ্বোধনী লেনদেন এবং রিং দ্যা বেল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে৷

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার ড. মিজানুর রহমান।

ডিএসই’র লিস্টিং বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবিউল ইসলামের সাঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, সিপিএ।

স্বাগত বক্তব্য তিনি বলেন, একটি নতুন ফান্ড বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে৷ আমরা বিশ্বাস করি মিউচ্যুয়াল ফান্ড সেক্টরের এই ইউনিট ফান্ড পুঁজিবাজারের গভীরতা বৃদ্ধি করবে৷ পূর্বে ক্যাপিটেক-এর আরও ৩টি ওপেন এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। আজকের ফান্ডটি তাদের প্রথম ক্লোজ এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড। ফান্ডগুলোতে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষা করে দক্ষভাবে পরিচালনা করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিএসইসি’র কমিশনার ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা গত সাড়ে তিন বছরে বেশ কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দিয়েছি৷ ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের আকার ১৫৬ কোটি টাকা৷ এই ফান্ডে স্বচ্ছতার জায়গা নিশ্চিত করেছি৷ আমাদের মূল উদ্দেশ্য বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা৷ দিনশেষে বিনিয়োগকারী লাভের হিসাব করবে৷

পরে তালিকাভুক্তিকরণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ এবং ক্যাপিটেক এ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট লিমিটেড এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সুমিত পাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তালিকাভুক্তিকরণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাপিটেক এ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান হাসান রহমান বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ অনুকুল অবস্থায় রয়েছে এবং একটি উপযোগী সময়ে ফান্ডটি পুঁজিবাজারে এসেছে। এমন সময়ে সঠিকভাবে ফান্ডের অর্থ বিনিয়োগ করা হলে এখান থেকে ভাল রিটার্ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএসইসি’র চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, গত দুই যুগের অধিক সময় ধরে আমাদের পুঁজিবাজারকে চাপিয়ে রাখা হয়েছিল। এই বাজার অনেক টেকনিক্যাল। তাছাড়া এর গুরুত্বও অনেকে অনুধাবন করতে পারতেন না। কিন্তু পুঁজিবাজার সে জায়গা থেকে বের হয়ে এসেছে। বাজারের ব্যাপ্তি অনেক বেড়েছে। নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালু হচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে টেকসই করতে হলে এই বাজারের আরও বিকাশ দরকার।

তিনি বলেন, একটি গতিময় পুঁজিবাজার ও এর স্থিতিশীলতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড জরুরি। নির্বাচনের পর অর্থনীতিতে যে গতি সঞ্চার হবে, তার চাহিদা পূরণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে অবশ্যই মিউচ্যুয়ল ফান্ড খাত ও পুঁজিবাজারকে অনেকদূর নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান অন্ধভাবে ব্যবসায়ীদের সমালোচনা না করে যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তারা লাভ করে। বিষয়টিকে এভাবে দেখা ঠিক নয়। কারণ ব্যবসায়ীরা লাভ না করতে পারলে ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে পারবেন না। প্রতিষ্ঠান খেলাপি হয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যবসায়ীরা লাভ করে ব্যসসা সম্প্রসারণ করেন। তাতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান হয়। তাতে দেশ এগিয়ে যায়। তাই ব্যবসায়ীদেরকে লাভ করার সুযোগ দিতে হবে।

পরিশেষে, ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকার ক্রমেই বড় হচ্ছে৷ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ছাড়া পুঁজিবাজার উন্নয়ন সম্ভব নয়৷ পৃথিবীর সব স্টক এক্সচেঞ্জেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের একটি বড় বাজার রয়েছে৷ আমরা চাই দেশের পুঁজিবাজার বড় হউক এবং সকল ধরনের রুলস রেগুলেশনস পরিপালন করে এ সেক্টর আরো এগিয়ে যাক৷ এবং ডিএসই’র পক্ষ থেকে যে কোন ধরণের সহযোগীতার আমরা প্রস্তুত৷

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এফসিএ, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্বিক আহমদ শাহ, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷