সামরিক আইন জারি: ক্ষমা চাইলেন দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

Posted on December 7, 2024

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেশটিতে সামরিক আইন ঘোষণা করেন এবং তীব্র প্রতিবাদের মুখে অল্প সময়ের মধ্য পার্লামেন্টে তা বাতিল করা হয়। এবার তিনি সামরিক আইন জারির ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, আর কখনো এ আদেশ দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে সামরিক আইন জারির ওই ঘোষণার জন্য প্রেসিডেন্ট সম্ভাব্য অভিশংসনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট ক্ষমা চাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তার ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ইউনের পক্ষে তার স্বাভাবিক দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। হান ডং-হুন বলেন, "তার দ্রুত পদত্যাগ অনিবার্য।"

প্রেসিডেন্ট ইউন তার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং যারা হতবাক হয়েছিলেন, তাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’

সামরিক আইন জারি কাণ্ডের পর প্রেসিডেন্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া তাঁর প্রথম টেলিভিশন ভাষণে পদত্যাগের কথা জানাবেন বলে ধারণা করছিলেন অনেকে, তবে তিনি তা করেননি। পক্ষান্তরে প্রেসিডেন্ট জানান, তার ক্ষমতাসীন দলকে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার দায়িত্ব দেবেন। তিনি অভিশংসনের বিষয়টিও উল্লেখ করেননি।

পার্লামেন্টে বিরোধীরা শনিবার ইউনকে অভিশংসনের প্রস্তাবে ভোটাভুটির জন্য চাপ দিচ্ছে। ৩০০ আসনের পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে অভিশংসনের পক্ষে প্রস্তাব পাসের জন্য ইউনের দলের অন্তত আটজন সদস্যের ভোট প্রয়োজন।

বিরোধী দলীয় নেতা লি জায়ে-মিউং বলেন, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ইউনের দেওয়া বক্তব্যে তিনি হতাশ। প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলবে। সূত্র- বিবিসি।