চুয়াডাঙ্গায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

Posted on October 17, 2023

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুৃয়াডাঙ্গায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জেলা আনসার কার্যালয় প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও শ্বেত কপত উড়িয়ে জেলা সমাবেশের উদ্বোধন করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক (ডিআইজি) শাহ্ আহমদ রাব্বী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক নারী সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি শিরীন নাঈম পুনম, ১৪ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক কামরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমাড্যান্ট সঞ্জয় চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহকারী জেলা কমাড্যান্ট কামরুল হাসান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সার্কেল অ্যাডজুটান্ট সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক (ডিআইজি) শাহ্ আহমদ রাব্বী বলেন, এই বাহিনীর একজন ভাষা সৈনিক ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর অস্ত্র দিয়েই প্রথম প্রতিরক্ষা গড়ে তোলা হয়। আমাদের সারাদেশে ৬৩ লাখ সদস্য আছেন। এই বাহিনী বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ বাহিনী। এই বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছ। সরকারের অনেক বিভাগ আছে। যারা দেশের জন্য কাজ করে। আনসার বাহিনীকে আইনী ক্ষমতা দেয়া আছে। এই বাহিনী সব বাহিনীর সাথে কাজ করতে পারবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, পুলিশের সাথে, র্যাবের সাথে, সবার সাথে কাজ করতে পারে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সব জায়গায় কাজ করে। সরকার কাজ করছে, কিভাবে এই বাহিনীকে আরো উন্নত করা যায়।

তিনি আরও বলেন, সমাবেশ মানেই আনন্দঘন দিন। সারা বছরে একদিন সবার সাথে সবার দেখা হয়। আমাদের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি জেলায় আগে এই সমাবেশ হয়। আপনারা জানেন, আনসার ভিডিবি ব্যাংক আছে। আমরা কৃষিক্ষেত্রে ঝণ দিচ্ছি। সারাদেশে কল-কারখানা থেকে শুরু করে সব জায়গায় গার্ড দিচ্ছে। সরকার আপনাদের স্বীকৃতি দিচ্ছে। নির্বাচনে আপনাদের দায়িত্ব দিচ্ছে। সরকার আপনাদের ওপর আস্থা রাখে। এখনকার আনসারের অনেক পরির্বতন হয়েছে। অনেক উন্নত হয়েছে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনসার নিয়ে ভাবেন। ওনার কাছে চাইতে হয়না, চাওয়ার আগেই দিয়ে দেন। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন। মন্ত্রণালয় আপনাদের সম্মানি বৃদ্ধির ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। দ্রুতই বৃদ্ধি পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং ডিজি মহোদয় সব জানেন। আপনারা নিজের মনে করে কাজ করবেন। রাত্রে জেগে মন্ডপ পাহাড়া দেবেন। যাতে মানুষ বলে, আনসার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন।

সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, দুঃস্কৃতিকারীরা বসে নেই। আমরাও বসে নেই। যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখবো। সরকার আপনাদের কাজের স্বীকৃতি ইতোমধ্যে দিয়েছে। আমরা আশা করি, এই স্বীকৃতি আরও বাড়বে। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ৭৫ লাখ স্বেচ্ছাসেবক। এর মধ্যে ৬৩ লাখই আপনারা। দূর্যোগ মোকাবেলায় আপনাদের অবদান বেশি। আপনাদের অবদানের কারণে বাংলাদেশ দূর্যোগ মোকাবেলায় রোল মডেল। দেশ আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আপনাদের মান উন্নয়নে পরিবর্তন এসেছে। আপনাদের মনোবল চাঙ্গা রাখবেন। গুজবের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখবেন।

অনুষ্ঠান শেষে আনসার সদস্যদের মাঝে ছাতা, বাই সাইকেল ও বিভিন্ন উপহার সাম্রগী বিতরণ করা হয়।