ফিফার অর্থায়নে আধুনিক ফুটবল টেকনিক্যাল সেন্টার হবে কক্সবাজারে

Posted on December 2, 2024

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ: বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে কক্সবাজারকে উজ্জ্বল করতে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ফিফার অর্থায়নে রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নে নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি আধুনিক টেকনিক্যাল সেন্টার। মাঠে খেলোয়াড়দের দক্ষতা বাড়ানোর এই স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে সরেজমিনে কাজ শুরু করেছে বাফুফে।মহাসড়ক লাগোয়া স্বপ্নতরী বিনোদন কেন্দ্রের পাশের সুবিশাল খেলার মাঠেই হচ্ছে বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টার।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বাফুফের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে গণমাধ্যমকে জানায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ফুটবল উন্নয়নে নতুন অধ্যায় সূচিত হবে। ১৯.১ একর জায়গায় নির্মিত এই সেন্টারে থাকবে দুইটি খেলার মাঠ, আধুনিক জিম, সুইমিংপুল এবং পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক ডরমিটরি।

বাফুফে প্রতিনিধিদল জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে জমির সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে ইতোমধ্যে জমি বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে। রামু উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার মোঃ সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল বিষয়টি তদারক করছেন।

বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য প্রাথমিকভাবে রামুর খুনিয়া পালং এলাকা নির্বাচন করা হলেও পরিবেশগত কারণে তা বাতিল করা হয়। নতুন স্থান হিসেবে রশিদ নগরের সুবিশাল খেলার মাঠটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরিদর্শনে অংশ নেওয়া বাফুফের সহ-সভাপতি জানান, “এখানকার পরিবেশ এবং জায়গার আয়তন এমন একটি সেন্টারের জন্য আদর্শ।”

রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো: সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল জানান, বাফুফের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত জায়গাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। জমির আশপাশ বিষয় গুলো সমন্বয় করে সহসাই অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয়া হবে।

বাফুফে প্রতিনিধিদলের সাথে পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এর এ্যাসিস্টেন্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: তানভির আহমেদ ছিদ্দিকী, কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হারুন উর রশীদ, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ও কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি এমআর মাহবুব, সাবেক জাতীয় ফুটবলার জেলা দলের কোচ মাসুদ আলম, ক্রীড়া সংগঠক সরওয়ার রোমন, ক্রীড়া সাংবাদিক ছৈয়দ আলম, ফুটবলার শাফায়েত মুন্না ও এমসি ফাহিম।

স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিনিধিরা এই প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি কক্সবাজারের ফুটবলের জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।