শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীতে আমরা একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। সমাজের প্রতিটি মানুষের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল সাতক্ষীরা সরকারী বালক উচ বিদ্যালয় মাঠ আয়োজিত জেলা জামায়াতের বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর জামায়েত ইসলামীর রাজধানী নাম খ্যাত সাতক্ষীরার কর্মী সম্মেলন বিশাল জন সমুদ্রে পরিণত হয়। কর্মী সম্মেলন উপলেক্ষ সাতক্ষীরা সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দুপুরের আগেই কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে যায়।
শহরের প্রতিটি রাস্তায় মানুষর ভিড়ে যান যানযট তৈরি হয়। সাতক্ষীরা জেলা জামাতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্ব কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাহাম্মদ ইজ্জত উল্লাাহ, কেদ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাসার, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মোসলেম আলী, ওমর ফারুক, প্রভাষক অবায়দুল্লাহ, খুলনা অঞ্চলর সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, কয়েক হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময় স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। আমাদের শহীদের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্ত বাংলার আকাশ কিছু শকুন ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। শকুনের দিক তীর্যক দৃষ্টি রাখত হবে। যেন কোন শকুন মাটিতে নামতে না পার।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৭ বছর সাতক্ষীরার মানুষ সব চেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। দেশের মধ্যে সাতক্ষীরার একজন সংসদ সদস্যের বাড়ি বুলডাজার দিয় গুড়িয়ে দেওয়া হয়ছিল। তিনি এই জনপদের সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল।
সাতক্ষীরার মানুষের উপরে তারা জুলুম করেছে, খুন করছে, অনেকের পঙ্গু বানিয়েছেন, ইজ্জতের উপর হাত দিয়েছে, সম্পদ লুটপাট করেছে। মানুষেক তারা তাদের দাশে পরিণত করেছে সারাদেশে একই অবস্থা ছিলা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিলা সাতক্ষীরায়। তিনি এ সময় বলেন, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যেনো বাংলার মাটিতে স্বৈরাচার আর দাঁত বসাতে না পারে।