তদারকির অভাবে অকেজো ইবির ৭০ লক্ষ টাকার প্রিন্টিং মেশিন: বাৎসরিক ক্ষতি ১০ লক্ষ টাকা

Posted on November 12, 2024

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রেস অফিসের জন্য ১৯৯৮ সালে কেনা হয়েছিল ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি প্রিন্টিং মেশিন। তবে প্রায় ৫ বছর ধরে এই মেশিনটি নষ্ট অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় প্রিন্টিং কার্যক্রম বর্তমানে বাইরের প্রিন্টিং প্রেস থেকে করানো হচ্ছে, যা বাৎসরিকভাবে ৮-১০ লক্ষ টাকা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও, প্রেস অফিসের কর্মচারীরা কার্যত কোনো কাজ না করেও বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস অফিস সূত্রে, এই প্রিন্টিং মেশিনটি ১৯৯৮ সালে বিদেশ থেকে আনা হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন ব্যবহারের বাইরে থাকার কারণে মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও মুদ্রণকাজ বাইরের প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পন্ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাইরের স্থানে প্রিন্ট করানোয় নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ আর্থিক খরচও বেড়ে গেছে।

প্রেস অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিস, সান্ধ্যকালীন কোর্স, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, পরিবহন অফিস, একাডেমিক শাখা এবং অন্যান্য বিভাগগুলোর প্রিন্টিং কাজের জন্য প্রেস অফিসের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের বিল রশিদ, বালাম শীট, প্রশ্নপত্র, খাতা, ক্যালেন্ডার, ডায়েরিসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র বাইরের দোকান থেকে প্রিন্ট করানো হচ্ছে। এতে করে বাৎসরিক ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার অপচয় হচ্ছে।

এদিকে, মেশিনটি মেরামত করতে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে বলে জানা গেছে। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এই মেরামত কাজও শুরু করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস প্রশাসক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মফিজুল ইসলাম বলেন, “২০২০ সালে মেশিনটি নষ্ট হয়। তখনকার প্রেস প্রশাসকও মেশিনটি মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সেটি করা সম্ভব হয়নি। আমরা এ সমস্যাটি নিয়ে মাননীয় উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং দ্রুত সমস্যাটির সমাধান হবে বলে আশা রাখি।”