আওয়ামী লীগ সমাবেশ করার চেষ্টা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে: প্রেস সচিব

Posted on November 9, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগ যদি সমাবেশ করার চেষ্টা করে, তবে কঠোর হাতে তা দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শফিকুল আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল। এই ফ্যাসিস্ট দলকে বাংলাদেশে কোনো ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হবে না। যারা গণহত্যাকারী এবং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে সমাবেশ, মিছিল বা সভা আয়োজন করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরো শক্তি দিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো ধরনের সহিংসতা বা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা সহ্য করবে না।

এর আগে শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক সেমিনারে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রলীগ অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছিল। এ জন্যই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ না হলে পুরো দেশটাই অনিরাপদ হয়ে যাবে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণেই তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আর যেন কোথাও ছাত্রলীগ তৈরি হতে না পারে সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। সুষ্ঠু একটি দেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ সময় নতুন করে রাষ্ট্র মেরামত করতে হলে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস দূর করত হবে বলেও জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রসঙ্গত, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আগামী ১০ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার জিরো পয়েন্টে আসার ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (৯ নভেম্বর) দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত দুটি পোস্টে এ ডাক দেয়া হয়েছে।

পোস্টগুলোতে লেখা হয়েছে, ১০ নভেম্বর আসুন - নূর হোসেন চত্তরে জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান, ঢাকায়। আমাদের প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যহত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে। অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গে আপনিও অংশ নিন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর এবারই প্রথম প্রকাশ্যে আসার ঘোষণা দিল দলটি।

উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। দিবসটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূটি পালন করে থাকেন।