আইএমএফ চতুর্থ কিস্তির ঋণ পুনর্বিবেচনা করবে ডিসেম্বরে

Posted on October 29, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ঋণের ৩ কিস্তির অর্থ ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে। ঋণের চতুর্থ কিস্তি পুনর্বিবেচনা করতে আইএমএফ’র প্রতিনিধি দল আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় আসছে।

ক্রিস পাপাদাকিসের নেতৃত্বে আইএমএফ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরামর্শও দেবে।

দেশের রিজার্ভ বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার এই ঋণ চেয়েছিল। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে আইএমএফের সদরদপ্তরে বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দেশের প্রতিনিধি দল আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।

আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, ‘৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তি পেতে বাংলাদেশ ভালো অগ্রগতি অর্জন করছে। পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য আলোচনা চলছে।’

গত ২৪ অক্টোবর ওয়াশিংটনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় আলোচনা হয়েছে। ঋণের বিষয়টি কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে ওয়াশিংটনে আলোচনা চলছে। আগামী বৈঠকে আরও আলোচনা হবে।’

গত জুন পর্যন্ত ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তির জন্য বাংলাদেশ ৭ শর্ত পূরণ করেছে কি না তা পর্যালোচনা করবে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়া সব শর্তই পূরণ করেছে। আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে, গত জুন পর্যন্ত সরকারের কর আদায়ের কথা ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।

আইএমএফের আরেক শর্ত ছিল নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) বাড়ানো। তৎকালীন সরকারের অনুরোধে গত মে মাসে আইএমএফ এই হার কমিয়ে দেওয়ায় শর্তটি পূরণ হয়েছিল।

গত ৩০ জুনের মধ্যে প্রাথমিক এনআইএফ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০.১১ বিলিয়ন ডলার। মে মাসের শেষের দিকে আইএমএফ তা ১৪.৭৯ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের এনআইআর ছিল ১৬.৭ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে বাংলাদেশ ঋণের প্রতিটি কিস্তির এনআইআর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে আইএমএফ তা সংশোধন করে।