কুতুবদিয়ায় স্ত্রী সন্তানকে হত্যা: স্বামীসহ গ্রেফতার ৩

Posted on October 28, 2024

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ‘স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে’ হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নারী রুনা আক্তারের ভাই সিরাজদৌল্লাহ বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. আরমান হোসেন বলেন, মামলায় রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার নুরুরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার নুরুল আবছার নুরু কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের শান্তি বাজার এলাকায় প্রয়াত রহিম দাদের ছেলে। অন্য দুইজন হলেন, ওই এলাকার আমির উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩২) ও পূর্ব তবলার চর এলাকার আবদুর জব্বারের ছেলে সাকিব হাসান রানা (১৫)।

মামলার এহাজারে বলা হয়েছে, নুরুল আবছার নুরুর সঙ্গে অন্য নারীর পরকিয়ার সম্পর্ক থাকায় জের ধরে এ হত্যা সংঘটিত হয়েছে।

ওসি আরমান হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার নুরুল আবছার ছাড়া অন্য দুইজন ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার প্রমাণ মিলেছে। নিহতের বাড়ির চারটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে অন্য দুইজনের কাছে। তিনজনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে নিজ ঘর থেকে নুরুল আবছার নুরুর স্ত্রী রুনা আকতার (৩২) ও মেয়ে ওয়াসিমা নুরে জারিয়ার (৭) গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরমান হোসেন বলেন, শনিবার রাতে নুরুল আবছার নুরুকে প্রধান করে তার স্ত্রীর বড় ভাই হাফেজ সিরাজদৌল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।

এজাহারে বলা হয়েছে, রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার ওরফে নুরু সওদাগর অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকায় তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি হত। এর জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরমান হোসেন আরো বলেন, এ ঘটনায় নুরুল আবছার নুরুকে আগেই আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অন্য দুইজনকে আটক করা হয়। আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনা আরও পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ।