সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোল ইউনিয়নের সৈয়দ আকবর আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি এ এম আসাদুজ্জামান ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ এম আসাদুজ্জামান, সদস্য দুলাল মন্ডল গোপনে ডিজি প্রতিনিধি ও উপজেলা ম্যাধমিক শিক্ষাকর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তাদের যোগ সাজসে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদকে প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করে নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করেন।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর') সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করে ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষককে দ্বায়িত বুঝে দেওয়ার আগেই আব্দুল ওয়াদুদ প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে সকল কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ১২ লাখ টাকা নেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী ও প্রার্থীরা ফুসে উঠেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগে স্থানীয় ও চাকরি আবেদন প্রার্থীরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামকে বিদ্যালয়ের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। সেই কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ নিজেই প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা কোন সদস্যদের না জানিয়ে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে নিজেই প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য সুকৌশলে পরীক্ষা নিয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, স্থানীয় দৈনিক যুগের কথা ও জাতীয় দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুতসহ ৫জন প্রার্থী আবেদন করেছিলো। সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রার্থী হওয়ায় আমাকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক প্রার্থী স্থানীয় ধুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার আগের দিন গত (১৮ সেপ্টেম্বর') আমাকে এডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। আমি যথা সময় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য গিয়ে ছিলাম। সভাপতি এ এম আসাদুজ্জামান ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আব্দুল ওয়াদুদকে নিয়োগ দিয়েছে।
সৈয়দ আকবর আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ এম আসাদুজ্জামান বলেন, সঠিকভাবে নিয়মে আবেদনকারীদের অংশগ্রহণে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় যে প্রথম হয়েছে তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা এলিজা সুলতানা বলেন, সরকারী বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ডিজির প্রতিনিধি ও সরকারী বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন বলেন, নিয়মঅনুযায়ী আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। প্রাথীরা উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষার সঠিক নিয়মে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অভিযুক্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সঠিক নিয়মে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। এখানে কোন প্রকার লেনদেন হয়নি। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম আমি হয়েছি। সেই কারণে আমাকে নির্বাচিত করেছে'। দ্বায়িত্ব পাওয়র আগেই চেয়ারে বসে দ্বায়িত্ব পালনের বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন তিনি।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
সিরাজগঞ্জে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ https://corporatesangbad.com/48913/ |