সিংগাইরে মসজিদের জায়গা নিয়ে কমিটি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব

Posted on October 27, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জায়গায় ভাড়া দেয়া দোকান নিয়ে মসজিদ কমিটি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারন করছে। মসজিদের জমি দখলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে কয়েকজন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে, নেতৃত্বদানকারী ব্যবসায়ীদের পক্ষে মাটিকাটা গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো.রাহেজুদ্দিন জমির দখলদার দাবী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২০১১ সালে ওই মসজিদ কমিটি রাহেজুদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, সেলিম ও কহিনুরের কাছ থেকে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৩ লাখ টাকা জামানত নিয়ে মসজিদের জায়গা ভাড়া দেয়। ভাড়াটিয়ারা নিজ দায়িত্বে পরিত্যক্ত নিচু জায়গায় মাটি ভরাট করে সেমিপাকা টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন। চারটি দোকানের পজিশন করে দীর্ঘদিন যাবৎ নিয়মিত ভাড়া প্রদান করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন তারা। এর মধ্যে ওই জায়গায় মসজিদ কমিটি মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে ভাড়াটিয়াদের জায়গা খালি করে দিতে বললে তারা গড়িমসি করেন। এতে মসজিদ কমিটি ও ভাড়াটিয়া রাহেজুদ্দিনসহ অন্য ব্যবসায়ীদের সাথে বিরোধ শুরু হয়। পরে তাদের উচ্ছেদ করতে মসজিদ কমিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে রাহেজুদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি নিয়মিত ভাড়া প্রদানের কথা স্বীকার করলেও সরকারি খাস জায়গায় দোকান নির্মাণ করেছে বলে জানান।তিনি আরো বলেন, জায়গাটি নিজ নামে লিজ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।

গোলাইডাঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মসজিদের উন্নয়নের কাজ চলছে। পুরনো ভাড়া দেয়া দোকানগুলো ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করে ভাড়া দেয়া হবে। মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও রাহেজুদ্দিনের কারণে অন্য ব্যবসায়ীরা দোকান ছাড়ছে না। ভাড়ার ক্ষেত্রে আগের ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

বলধারা ইউনিয়ন (ভূমি) উপ-সহকারি কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, পারিল-নোয়াদ্দা মৌজায় আর এস ৩৮৪৫ দাগের মোট ৩৪২ জমির মধ্যে প্রজা খতিয়ানে হাইস্কুল ৬২, মাঠ ২৪. মসজিদ ৪৭ ও ৯৭ শতাংশ সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। শ্রেনী মাঠ বিধায় কাউকে লীজ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে মসজিদের দোকান সংস্কার নিয়ে কমিটি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে বলেও তিনি স্বীকার করেন। সরকারি স্বার্থ যাতে নষ্ট না হয় সে দিকে সার্বক্ষনিক নজর রাখা হচ্ছে।

অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানার এসআই আলী আজম ফরাজী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, দু’পক্ষকে ডাকা হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তির স্বার্থে প্রয়োজনে আবার যাবো।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।