সিংগাইরে মমতাজ-টুলুসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

Posted on October 26, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রায় একযুগ আগের ৪ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানিকগঞ্জ-০২ আসনের সাবেক এমপি কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুসহ (সদ্য সাবেক স্বতন্ত্র এমপি) ১০৯ জনকে আসামি করে সিংগাইর একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ৫শ থেক ৬শ জনকে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সিংগাইর পৌর এলাকার গোবিন্দল গ্রামের নিহত নাজিম উদ্দিন মোল্লার পিতা মজনু মোল্লা (৬০) বাদী হয়ে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্যান্য আসামিরা হলেন - জেলা আঃ লীগের সহ-সভাপতি হাজী আঃ মাজেদ খান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান,সিংগাইর পৌরসভার সাবেক মেয়র মীর মোঃ শাহজাহান, উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সায়েদুল ইসলাম, উপজেলা আঃ লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুর রহমান শহিদ, পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র আবু নইম মোঃ বাশার, পৌরসভার সাবেক কমিশনার আব্দুস সালাম খান, মোঃ সমেজ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ তমিজ উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক মোঃ রমিজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক এ্যাড. লুৎফর রহমান ও মোঃ আব্দুল বারেক খান এবং বায়রা ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহ লাঠু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,২০১৩ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সকাল ১০টার হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত ইসলাম ও সমমনা দলের পূর্ব ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ছিল। সিংগাইর গোবিন্দল নতুন বাজার চার রাস্তার মোড়ে হেমায়েতপুর- সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে হরতালের সমর্থনে শতশত ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমাবেশে আসামীদের গুলিতে আমার পুত্র নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ চারজন মারা যায়। আসামিগণ ততকালীন সরকার দলীয় প্রভাবশালী লোক হওয়ায় কর্তৃপক্ষ মামলা না নেওয়ায় আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর মামলা দায়ের করা হল।

দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির দাবি করেন মামলার বাদি মোঃ মজনু মোল্লা।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়ে যথাযথ তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ৯ অক্টোবর একই ঘটনায় নিহত মোঃ নাসিরের ভাই গোবিন্দল গ্রামের মৃত ইউসুব আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৫০) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।