তেল আবিবে সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর হামলা, জরুরি অবস্থা জারি

Posted on October 22, 2024

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তেল আবিবে গ্লিলোট সামরিক গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হিজবুল্লাহ বলছে, তারা ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। টেলিগ্রামে এক পোস্টে লেবাননভিত্তিক গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি এবং লেবাননের জনগণকে রক্ষায় তারা এই হামলা চালিয়েছে।

হিজবুল্লাহর হামলার পর বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তেল আবিবে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

এদিকে চলতি মাসে ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তার জবাবে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। সোমবার (২১ অক্টোবর) ইসরায়েলের রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি চ্যানেল কান ১১-কে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা।

বিবৃতিতে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরানে একটি বড়সড় হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েল নিচ্ছে। এছাড়া ইরানের যে কোনো সম্ভাব্য হামলা ঠেকানোর জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।

তবে ইসরায়েল ইরানের ঠিক কোন কোন জায়গায় আঘাত হানতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের তেলক্ষেত্র বা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে আইডিএফ।

সম্প্রতি গাজা যুদ্ধ ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলার পর তেহরান ও তেল আবিবের মধ্যে বৈরিতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। হিজবুল্লাহ, হামাস, হুথি, প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে গত চার দশক ধরে নিয়মিত আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে ইরান। এসব গোষ্ঠীর প্রধান ও একমাত্র লক্ষ্য হলো ইসরায়েলকে নির্মূল করা।