মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: ১৯৩১ সালে চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারি পর্যন্ত রেললাইন এসেছিলো। তারপর এক ইঞ্চিও বাড়েনি রেললাইন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে উদ্যোগ নেন রেললাইন নির্মানের। শুরু হয় মহাযজ্ঞ। আর ৯২ বছর পর ট্রেন আসছে সমুদ্র শহরে। ফলে দীর্ঘ সময়ের সড়ক পথে যাতায়াতের ভোগান্তি কমবে আর কমবে সড়ক পথে দূর্ঘটনায় প্রানহানীর ঘটনাও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঢাকা থেকে মাত্র সাড়ে ৬ ঘন্টায় রেলে চেপে সমদ্র শহরে আসা যাবে। রেলের ভাড়াও হবে অনেকটা সুলভমুল্যে।
শেখ হাসিনা সরকারের প্রণয়নকৃত ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার ফাস্টট্র্যাক প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার ১০০.৮৩ কিমি রেলপথ এখন দৃশ্যমান। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত থেকে ৩কিমি দূরে ঝিলংজা ইউনিয়নের প্রায় ২৯ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত হয়েছে ঝিনুক আকৃতির আইকনিক রেলষ্টেশন। প্রকল্পের ৯৬ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন, যেখানে থাকছে ৩৯টি সেতু যার সবগুলো স্পেন ও পিলারের কাজ শেষ এবং দীর্ঘ এই রেলপথে আইকনিক স্টেশন সহ ৯টি স্টেশন নির্মানের কাজও চুড়ান্ত বলে জানান কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার আব্দুল জব্বার।
তিনি জানান, ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে পরিক্ষামূলক যাত্রা করবে ৬টি বগির একটি ট্রেন। যার প্রতি বগিতে থাকবে ৬০জন যাত্রী ধারণক্ষমতা। ১৫দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণ শেষে ১২ নভেম্বর রেললাইনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
৫তলা বিশিষ্ট আইকনিক স্টেশনে থাকছে শপিং মল, ফুড কর্ণার, কনভেনশন হল সহ ১৭টি বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
দোহাজারী থেকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া ও রামু হয়ে পাহাড় ও নদীপথ দিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত বয়ে গেছে এই রেলপথ।
প্রাথমিকভাবে দুইজোড়া ট্রেন চলবে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে। কক্সবাজারবাসীর জানালায় শুনা যাবে ট্রেনের ঝিকঝিক শব্দ।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
৯ দশক পর ট্রেন আসছে সমুদ্র শহরে https://corporatesangbad.com/48749/ |