শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে শত শত ঘরবাড়ি, মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে হাজারও পরিবার

Posted on October 14, 2024

মোঃ শরিফ উদ্দিন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তোরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার শত শত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার। প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করাসহ টিন ও অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার খলিশাকুড়া গ্রামের হারুন মিয়া জানান পাহাড়ি ঢলের পানিতে তার ঘরবাড়িসহ সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে খোলা আকাশের নীচে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করছে। তার মতো একই অবস্থা এ এলাকার আরো অনেকের। ভয়াবহ পাহাড়ি ঢলে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তাদের আশ্রয়স্থল ঘরবাড়ি।

স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড়ি ঢল দেখেছে শেরপুরবাসী। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিবছর বর্ষায় দুই তিনবার ঢলে ভাসলেও ইতিপূর্বে এমন তান্ডবলীলা কেউ দেখেনি এর আগে। ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা ৪টি নদী পারের মানুষ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সব লণ্ডভণ্ড করে দেয় ঢল। পানি কমতেই ভেসে উঠছে তান্ডবলীলার চিত্র। এ বন্যায় জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার অন্তত পাঁচ হাজার কাঁচা, আধা পাকা, পাকা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঢলের স্রোতের সামনে যা যা পরেছে সব মিশিয়ে দিয়েছে মাটির সাথে, নয়তো নিয়ে গেছে ভাসিয়ে। সব হারিয়ে দিশেহারা এসব পরিবার। পানি কমায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নিজ বাড়ি ফিরেছে মানুষ। ঘর না থাকায় খোলা আকাশের নীচেই অবস্থান তাদের।

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করা হবে বলে জানান, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা। তারা দু’জনেই বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। টিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর ক্ষতিস্তদের মাঝে বিতরণ ও পূনর্বাসন করা হব।