দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যাখ্যা

Posted on October 7, 2024

কর্পোরেট ডেস্ক : ৬ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত 'ইউনিয়ন ব্যাংক; রহস্যময় ব্যাংক হিসাবে ভোটের আগে নগদ লেনদেন' শীর্ষক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে যেসব তথ্য লেখা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করে প্রথমআলোর প্রতিবেদনে অনেক তথ্যই বিকৃত ও অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, প্রথমআলো ধারাবাহিকভাবে ইউনিয়ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। দেশের একটি দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের কাছ থেকে এ ধরণের ধারাবাহিক প্রপাগাণ্ডা আমরা প্রত্যাশা করিনা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকখাত অত্যন্ত বিপদজনক ও সংকটাপন্ন সময় পার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাত সংস্কারে ঐতিহাসিক ভুমিকা পালন করছে। এ সময়ে সমাজের সব পক্ষেরই দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখা প্রয়োজন। অন্যথায় দেশের ব্যাংকখাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে 'মোস্তাক ট্রেডার্স' নামের একটি ব্যাংক হিসাব খোলার সঙ্গে ব্যাংকেরএমডি এ বিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হলো, একটি ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে কি হিসাব খোলা হবে সেটি এমডি পর্যন্ত আসার কথা নয়। ব্যাংকিংরীতিনীতি মেনেই গ্রাহকের ব্যাংকহিসাব খোলাহয়ে থাকে। গ্রাহক তাঁর নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী লেনদেন করে। আবার গ্রাহকের আবেদনের ভিত্তিতে সেটি যথানিয়মে বন্ধ করা হয়ে থাকে। এগুলো ব্যাংকিয়ের স্বাভাবিক রীতিনীতি। ওই হিসাবটির তথ্য সার্ভার থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বলে প্রথমআলোর প্রতিবেদনে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটিও মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। লেনদেনের কোনো তথ্যই সার্ভার থেকে ডিলিট করা যায় না।

তথ্য মুছে ফেলা হলে প্রতিবেদক সে তথ্য কোথায় পেলেন। প্রতিবেদক একাধিকবার ব্যাংকে গিয়ে ও মুঠো ফোনে চেষ্টা করে এ বিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটিও সত্য নয়। ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করে, এ ব্যাংকে আমানতকারীদের অর্থ নিরাপদ রয়েছে।