চকরিয়ায় রং তুলিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা

Posted on October 6, 2024

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে পরম যত্নে প্রতিমা তৈরি করছেন চকরিয়ার প্রতিমা শিল্পীরা। শেষ মুহূর্তের চলছে প্রতিমায় রং-তুলির আঁচড়। তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠছে প্রতিমাগুলো।

রবিবার (৬ অক্টোবর) পৌর শহরের সার্বজনীন কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। শিল্পীর রংতুলির ছোঁয়ায় প্রতিটি প্রতিমা জেগে উঠছে। তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠছে মা দুর্গা, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষ্মী ও মহিষাসুরের প্রতিমাগুলো।

আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গাকে আগমনের আহ্বানের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা। উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় ইতোমধ্যে মাটির কাজ শেষ করে চলছে রঙ তুলির কাজ। শিল্পীর রঙ তুলির আঁচড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দশভূজা দেবীদুর্গাসহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবীদুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতি বছর অসুরের বিনাশে দেবী দূর্গা এই ধরাধামে আবির্ভুত হয়। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার গ্লানি দূর করার জন্যই এই পূজার আয়োজন করেন।

এদিকে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলায় ৪৬টি প্রতিমা পূজা ৪৩টি ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে পাঁচ দিনব্যাপী বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসব সম্পন্ন হবে।

চকরিয়া উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব এই দুর্গা পুজা। চকরিয়ার সর্বসাধারণ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। জাতি, ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই শারদীয় দুর্গা উৎসব পালন করে আসছে। আমরা উৎসবকে উৎসবমুখর করার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসনের সাথে সভা করেছি।
তিনি আরও জানান, ভালোবাসায় আনন্দঘন পরিবেশে এবার দুর্গোৎসব হচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী দলের নেতারা সবখানে সম্প্রীতির বাণী তুলে ধরছেন। এজন্য তাঁরা উপজেলার সকল ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূইয়া জানান, সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য আইন শৃংখলা বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখছে। বিভিন্ন মন্ডপের দায়িত্ব দিয়ে নিয়মিত টহল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আনসার ও ভিডিপি নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও কঠোর নিরাপত্তা জোরদারে মাঠে টহলে থাকবে সেনাবাহিনী। আশা করি এবারের পূজায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। তবে এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।