স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ বাংলাদেশের সামনে এবার টি-টোয়েন্টির চ্যালেঞ্জ। রোববার (৬ অক্টোবর) গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। শ্রীমান্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
টেস্টের মতো এই ফরম্যাটেও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে শান্তদের। টানা ১৫টি টি-টোয়েন্টি সিরিজে অপরাজিত গৌতম গম্ভীরের শিষ্যরা। ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ভারত। তাদের হারাতে হলে সেরাটা দেওয়ার বিকল্প নেই। জিততে হলে পারফর্ম করতে হবে।
২০১৯ সালে ভারত সফরে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। যেটি শান্তদের জন্য বড় অনুপ্রেরণার। তবে, সেসময় দলে মুশফিক-সাকিবদের মতো তারকারা থাকলেও এখন মাহমুদউল্লাহ ছাড়া নেই পঞ্চপাণ্ডবের আর কেউ। তাই চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে তরুণদের।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা ভারতীয় দলে কোহলি-রোহিত ছাড়া আছেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডের প্রায় সব ক্রিকেটারই। আইপিএল মাতানো এসব ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ সিরিজে সেরাটা দিতে মুখিয়ে। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন দলটিতে আছেন অভিষেক শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়ার মতো হার্ড হিটার ব্যাটাররা। তাদের থামাতে বাড়তি পরিকল্পনা করতে হবে তাসকিন-মিরাজদের।
এছাড়া বোলিং ইউনিটে রবি বিষ্ণুই-ওয়াশিংটন সুন্দররা বাংলাদেশি ব্যাটারদের জন্য ভয়ের কারণ হতে পারে। পাশাপাশি, প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া পেসার মায়াঙ্ক যাদব বাংলাদেশের জন্য বেশ দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারেন। আইপিএলে লখনৌর জার্সিতে গতির ঝড় তোলা এই পেসারকে সামলাতে সতর্ক থাকতে হবে লিটন-শান্তদের।
বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক খবর, চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। দলে আছেন রিশাদ হোসেনের মতো পরীক্ষিত লেগ স্পিনার। যিনি ভারতীয় ব্যাটারদের বিপাকে ফেলতে পারেন। টপ অর্ডরে হৃদয়-তামিমরা যদি ছন্দে থাকেন, তাহলে ভালো কিছুর আশা করতেই পারে বাংলাদেশ।
এদিকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে মধ্যপ্রদেশের শ্রীমান্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়াম যাত্রা শুরুর অপেক্ষায়। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হবে পাঁচ নম্বর উইকেটে। এই মাঠে ঘরোয়া লিগে এখন পর্যন্ত হওয়া ১২টি ম্যাচে গড় রান ১৬১। ম্যাচের আগে থাকবে জমকালো উদ্বোধনী।
সাকিব আল হাসান না খেললে একজন বাড়তি ব্যাটার কিংবা বাড়তি বোলার নিয়ে খেলতে হয়। অনেক বছর থেকেই এই চর্চা বাংলাদেশের ক্রিকেটে। আগে তা মাঝেমধ্যে হলেও এখন এটা হবে নিয়মিত। এরমধ্যেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ভারত সিরিজে সাকিবের শূন্যতা পূরণও বড় চ্যালেঞ্জ সফরকারীদের জন্য।
ফর্মের পাশাপাশি পরিসংখ্যানেও বেশ এগিয়ে ভারত। দুই দলের ১৪ বারের দেখায় ১৩ বারই শেষ হাসি ভারতের। বাংলাদেশের একমাত্র জয়টি ২০১৯ সালের সফরে। এরপর নানা সময়ে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে। তাই এবার পরিসংখ্যান পাল্টে নতুন ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
আজ সন্ধ্যায় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত https://corporatesangbad.com/485281/ |