ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ত্রাস খান আক্তারের হাত থেকে মুক্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

Posted on October 9, 2023

বিশেষ প্রতিনিধি:  ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ত্রাস তথাকতিথ অনলাইন গ্রুপের মালিক তদবিরবাজ, প্রতারক, ভূমিদস্যু খান মোঃ আক্তারুজ্জামানের দস্যুবৃত্তির হাত থেকে মুক্তি চেয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা খান আক্তারের নির্যাতনে দস্যুবৃত্তিতে নিষ্পেষিত হয়ে কিভাবে বীভৎস জীবন যাপন করছেন তার বর্ণনা তুলে ধরেন এবং সরকারের ও‌ প্রশাসনের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা এই দস্যুর হাত থেকে মুক্তি চান।

সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সাধারান জনগনের পক্ষে নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন-- প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আমি প্রথমেই এই ভূমিদস্যু খান আক্তারের জালিয়াতির আমলনামা তুলে ধরছি-

 তার জালিয়াতির আমলনামা

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,

আমরা ক্যান্টনমেন্ট মাটিকাটা, মানিকদি এলাকার সাধারন জনগন। আজ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের আমাদের এলাকার একজন মুখোশধারি ধর্মের লেবাশধারি ভয়ংকর প্রতারক তদবিরবাজ, ভূমিদস্যু খান মোঃ আক্তারুজ্জামানের আসল চেহারা উন্মোচন করবো আপনারা জানেন যে, বর্তমানে রাজধানির অভিজাত এলকার মধ্যে অন্যতম মিরপুর ডিওএইচএস, ক্যান্টনমেন্ট ইসিবি, মাটিকাটা, মানিকদি। এই এলাকার সাধারন জমির মালিকদের কাছে এক আতংকের নাম “আক্ততার” যার চোখ কোন জমিতে পরলে আর রেহাই নেই। ঐ জমি যেকোন মূল্যে আকতার দখল করবেই আর এতে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে হামলা মামলা শুরু হয়ে যাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় গায়েবি মামলা হতে থাকবে। আর আমি তেমনই একজন ভুক্তভোগি। আমি এই লোক সম্পর্কে প্রথমে তেমন কিছু জানতাম না। গত কিছুদিন পূর্বে একটি জমি নিয়ে তার সাথে প্রথমে আমার ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকেই আমার জীবনে নেমে আসে আকতারের ভয়ানক কলি থাবা। সেই জের এখনো আমার টানতে হচ্ছে।

এর মধ্যে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেলে পাঠানো থেকে শুরু করে মিডিয়াতে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন সকল কিছুই করিয়েছে এই আকতার। এমন কিছু বিষয়ে আমাকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে যা স্বপ্নের মত রুপ কথা। এভাবে প্রতি নিয়ত মিথ্যা আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাকে বারবার হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত আমার ব্যাবসা এবং জমি দখলের জন্যই আকতারের এত অপকৌশল ।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগন, কে এই খান মোঃ আক্তারুজ্জামান। তার খুটির জোর কোথায়? তার মদদদাতা কারা। 

ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মেসের মধ্যে থেকে জীবন শুরু। আজ থেকে একযুগ আগেও নুন আনতে পানতা ফুরাতো সেই ব্যাক্তি কিভাবে এত টাকার মালিক হল। সে নিজেই তার এক সাক্ষাতকারে বলেছিল সে, লজিং মাষ্টার এবং টিউশনি করতো। অনেক সময় অর্থাভাবে না খেয়ে থাকতে হতো। মাগুড়া জেলার শ্রীপুর থানায় তার জন্ম। অর্থ কষ্টে সে টিউশনি করে তার জীবিকা নির্বাহ করতো। হটাৎ করে সে কিভাবে আলাদিনের মত রাতারাতি ধনি হয়ে গেল। এর সঠিক তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে কত নিরীহ লোকের আর্তনাদ। যাদের শেষ সম্ভল কেরে নিয়ে তাদের নিঃশ্ব করা হয়েছে। এখানে অনেক ভুক্তভোগি রয়েছেন যারা তাদের বক্তব্যে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার  বর্ননা দিবেন। এই আক্তার মহামান্যা হাইকোর্টে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইসিবি চত্বরে হইতে প্রয়াত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুনের আত্মীয় স্বজনদের ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জবর দখল করে বিশাল মার্কেট নির্মান করেছেন। এখানে দেশ বিদেশের নামি দামি ব্র্যান্ডের আউটলেট স্থাপন করে কোটি কোটি টাকা জামানত হিসেবে নিয়েছেন অথচ এই স্থাপনার কোন বৈধতা নেই। পরবর্তীতে এই জামানত প্রদান কারিরাও ভুক্তভোগি হিসেবে আবির্ভূত হবেন। এই এলাকায় তার বিরুদ্ধে টু শব্দ করার কেউ,রয়েছে কিশোর গ্যাং সহ বিশাল ক্যাডার বাহিনী যার নেতৃত্বে রয়েছে আজাদ, বাবুল, হবি, কাইয়ুম, চঞ্চল, আলামিন সহ অনেকে। প্রতিবাদ করলেই তার বাহিনী দিয়ে আক্রমন করায় এরপর না থামলে বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকজন দিয়ে গুম করার ভয় দেখায়। অবিলম্বে আমরা সাধারন জনগন এই অত্যাচারি প্রতারক ভূমিদস্যুর সম্পদের অনুসন্ধানের দাবি জানাচ্ছি দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন আমাদেরকে এই ভূমিদস্যুর হাত থেকে মুক্ত করে  ক্যান্টনমেন্ট এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনুন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইয়ুব আলী, সানাউল্লাহ , আশরাফ আলী, মহিন হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।