চকরিয়া-বদরখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা

Posted on October 3, 2024

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: চকরিয়া থেকে বদরখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি অগণিত গর্তে ভরপুর। চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা থেকে বদরখালী সেতু পর্যন্ত এ মহাসড়কটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ১১ কিলোমিটার রাস্তায় অগণিত গর্তে ভরা। ফলে মানুষের জনজীবনের দুর্ভোগের শেষ নাই।

এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে।তার মধ্যে মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুতের মালামাল নেওয়ার জন্য এ সড়কটি ব্যবহার করা হয়।

এ মহাসড়কটির এমন বেহাল দশা হয়েছে জনসাধারণের যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়।পথচারীদের কথা বলে জানা যায়,এ সড়কটির এমন বেহাল দশা পথচারীদের যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়।তাদের সন্তানদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক কষ্ট হয়।এছাড়া যে কোন রোগীকে হাসপাতালে নিতে চাইলে সহজে গাড়ি পাওয়া যায় না।

বিভিন্ন গাড়ির চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,এ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে কক্সবাজারসহ সারা দেশের গাড়ি যাতায়াত করে থাকে।এছাড়া এ আঞ্চলিক মহাসড়কটি সাথে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ ও মাতারবাড়ির সমুদ্র বন্দরের অন্যতম প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। ফলে এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়লাবিদ্যুৎ ও বন্দরের গাড়ি যাতায়াত করতে থাকে।এমতাবস্থায় গাড়ির চালক গন সরকারের কাছে দ্রুত সময়ে আঞ্চলিক মহাসড়কটির মেরামত বা সংস্কারের দাবি করেন।

এ আঞ্চলিক মহাসড়কটির এমন বহাল দশা যে,বৃষ্টি হলে সন্ধ্যার পর পর আর গাড়ি পাওয়া যায় না,গাড়ি পাওয়া গেলেও তাতে ভাড়া গুনতে হয় দ্বিগুণ। কারণ,বৃষ্টি হলে সড়কের গর্ত গুলো পানিতে ডুবে যায় ফলে দুর্ঘটনা হয় বা গাড়ি উল্টে যায় এতে গাড়িসহ মানুষদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।সে জন্য গাড়ির চালকরা গাড়ি নিয়ে দুরে কোথায় যেতে চাই না।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রুকন উদ্দিন বলেন,চকরিয়া থেকে বদরখালী পর্যন্ত এ আঞ্চলিক মহাসড়কটির সংস্কার বা মেরামতের কাজ শুরু করছি। এ আঞ্চলিক মহাসড়কটির দুরত্ব চকরিয়া থেকে বদরখালী সেতু পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার এর মধ্যে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত মেরামত করছি। কিন্ত বর্ষা মৌসুম চলা আসাতে আমরা কাজ করতে পারছি না, তবে এ আঞ্চলিক মহাসড়কে যে গর্ত গুলো হয়েছে সেখানে অস্থায়ীভাবে ইটের খোয়া ও পাথর দিয়ে ভরাট করে দিই কিন্তু বৃষ্টির তীব্রতা বেশি হওয়ায় পানির স্রোতে ইটের খোয়া ও পাথর গুলো ভেসে যায়।ফলে সড়কের অগণিত গর্ত গুলো আবার ভেসে উঠে এতে জনসাধারণের জনজীবনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি কমার সাথে সাথে আমরা এ আঞ্চলিক মহাসড়কটির মেরামতের কাজ পুরোদমে শুরু করে দেব।