গণত্রাণের ৮ কোটি টাকা যাবে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

Posted on October 2, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : বন্যার্তদের সহায়তায় ‘গণত্রাণ’ সংগ্রহ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) তোলা টাকার মধ্যে ৮ কোটি টাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম চেক গ্রহণ করেন।

টিএসসির ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, টিএসসিতে মোট ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪২০ টাকা উঠেছে। এর মধ্যে মোট ব্যয় হয়েছে এক কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ২০৭ টাকা। এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩ টাকা রয়েছে। যার মধ্যে আজ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৮ কোটি টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকী ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা উত্তরাঞ্চলের বন্যর্তদের সহযোগিতায় ব্যয় করা হবে।

এ সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘গত ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিএসসিতে ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে নগদ অর্থ এসেছে ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪২০ টাকা। ইতিমধ্যে আমরা ব্যয় করেছি এক কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ২০৭ টাকা। এই টাকা দিয়ে আমরা ত্রাণ কিনেছি, গাড়িভাড়া দিয়েছি। এক্ষেত্রে ২০০ ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় দুই লাখ ত্রাণের প্যাকেট আমাদের গেছে।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ২৭ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ৮৩ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ৮ টাকা ৫৩ পয়সা গ্রহণ করেছি। মোট ২০৩টি চেক আমরা গ্রহণ করেছি।’

এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে গণত্রাণ কর্মসূচির অডিট কাজ পরিচালনকারী গোলাম ফজলুল কবির জানান, ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪২০ টাকার ফান্ড সংগ্রহ হয়েছিল। এরমধ্যে নগদ আসে ৯ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ টাকা। বাকি টাকা মোবাইল ব্যাংকিং, প্রাইজবন্ড, ডলার ও অন্যান্য মাধ্যমে আসে। এরমধ্যে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ২০৭ টাকা।

অডিটর কবির আরও জানান, বর্তমানে ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্টে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩ টাকা রয়েছে। এরমধ্যে ৮ কোটি টাকা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়া হবে।

গণত্রাণের অডিটের বিষয়ে তিনি জানান, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে অডিট কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০ সেপ্টেম্বর। এ সময়ের মধ্যে কেবল আর্থিক অডিট হয়েছে। পণ্য ও পোশাক এবং ননক্যাশ অডিট সম্ভব হয়নি। ত্রাণের টাকা থেকে খরচ করে ২০ লাখ প্যাকেট খাবার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১৯০ ট্রাকে ১৫-১৬ জেলায় ত্রাণ পাঠানো হয়।