জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে সরকারের ১০০ কোটি টাকা অনুদান

Posted on September 18, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের পুনর্বাসন এবং চিকিৎসা সহায়তার জন্য গঠিত জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে শহিদ গোলাম নাফিজ ভবনের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম একথা জানান।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। পাশাপাশি যারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনেও তাদের চিকিৎসা করা হবে যেন তারা যতটুকু সম্ভব দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘শহিদ নাফিসদের আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রুপকার শহিদ নাফিসরা। আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড দেশের জনগণ। সেখানে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিলো বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শহিদদের কোন দল নেই, তাদের স্মৃতিকে ধারণ করেই দেশ পরিচালনায় এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, এ অভ্যুত্থান কোনো বিশেষ দল, মত বা গোষ্ঠীর নয় এ অভ্যুত্থান দেশের সকল মানুষের। যখন অভ্যুত্থানের ইতিহাস লেখা হবে তখন কোনো ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর জায়গা থেকে ব্যাখ্যা না করার বিষয়েও তিনি সবাইকে সতর্ক করেন।

নাহিদ জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে আহতদের জন্যও সহায়তা কার্যক্রম শুরু হবে। এ ছাড়া মাসিক ভিত্তিতে হতাহতদের সহায়তার পরিকল্পনাও আছে। এ উপদেষ্টা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রায় ৮০০ নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭০০ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। সব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শেষ হলে স্মরণসভা করা হবে।

এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ উপস্থিত ছিলেন।

স্নিগ্ধ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ১০০ কোটি টাকার একটি চেক দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। এখন সবাই এখানে অনুদান দিতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে শহিদ গোলাম নাফিজের বাবা মো. গোলাম রহমান, ঢাকার ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধসহ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।