ময়মনসিংহে শেখ হাসিনা-রেহানাসহ ৭১১ জনকে আসামি করে দুই মামলা

Posted on September 4, 2024

ময়মনসিংহ ব্যুরো : ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কলতাপাড়ায় ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আদালতে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দু’টিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ মোট ৭১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরও আগে গত মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গৌরীপুর উপজেলা ডৌহাখলা ইউনিয়ন কৃষক দলনেতা আবুল কাশেম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৯৭ নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক আসমা সুলতানা বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে গৌরীপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার সঙ্গে এই অভিযোগটি একীভূত করে জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট গৌরীপুর উপজেলর ডৌহাখলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম আকন্দ বাদী হয়ে ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে অপর একটি মামলার আবেদন করেন। বিচারক আসমা সুলতানা এই অভিযোগটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এছাড়াও এসব মামলায় ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সাবেক এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত, ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনের সাবেক এমপি নিলুফার আঞ্জুম পপি, গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা, সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামসহ দুই মামলায় ১৬১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত মোট ৫৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ জুলাই জেলার গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ সড়কের তালু স্পিনিং মিলের সামনে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা মিছিল করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিপ্লব হাসান (২০), নূরে আলম সিদ্দিকী ওরফে রাকিব (২০) ও জোবায়ের আহমেদ (২১) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন।

এদিকে ঘটনার দুইদিন পর গত ২২ জুলাই গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল আলম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচশজনকে আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।