সারা দেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

Posted on September 1, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর অবহেলাজনিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) ঢুকে চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নসহ দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতির (কমপ্লিট শাটডাউন) ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন তারা। সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরা এর আওতায় বলেও জানানো হয়। চিকিৎসকদের সাথে নার্সিং স্টাফরাও একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।

এর আগে আজ রোববার সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসকরা।

শনিবার (৩১ আগস্ট) নিউরো সার্জারি বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীর চিকিৎসা ও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকের মারধরের ঘটনায় চিকিৎসকরা নিরাপত্তা ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দেয়।

ওইদিন মধ্যরাতে খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।

পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অনস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা।

চিকিৎসকরা নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। আল্টিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা।

এদিকে, ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা সংস্কার পরিষদ।

শনিবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা না হলে ইমার্জেন্সি অপারেশন/চিকিৎসা ছাড়া সকল প্রকার অপারেশন এবং সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার আহসানুল হক দীপ্ত (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) ছাত্র ছিলেন। ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঢামেকের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢামেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে।