এন জি চক্রবর্তী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) ৩৩তম অংশ
দ্বিতীয় ভাগ।
আটাশ অধ্যায়।
ক্যারিফরোয়ার্ডস।
তথ্যের বিকৃতি না ঘটিয়ে লেজারে এন্ট্রি দেবার মত জায়গা খালি না থাকলেও কিভাবে লেজার ব্যালেন্স স্থানান্তর হবে।
যখন কোন হিসাবের পাতায় এন্ট্রি - সেটা ডেবিট ক্রেডিট যাইই হোক - দেবার মত আর কোন জায়গা লেজারে অবশিষ্ট থাকবে না, বুঝবেন লেজারের যে অব্যবহিত পাতাটি তখনো অব্যবহৃত আছে সেখানে আগের পাতাটির ব্যালেন্স ট্রান্সফার করার সময় হয়ে গেছে। অব্যবহিত পাতাটি কেন? কারণ কোন পাতা অনাবশ্যকভাবে খালি রাখলে তাতে জাল জালিয়াতির সুযোগ থাকে। লাভক্ষতি হিসাবে ট্রান্সফার করতে হলে যেভাবে আপনি লেজারের ব্যালোন্স টানতেন - সেটা ডেবিট ক্রেডিট যাইই হোক - ঠিক একইভাবে ব্যালেন্স টানুন, তবে তার জন্য কোন জার্নাল করতে যাবেন না। করলে করতে পারেন, তবে সেটা না লাগবে কোন কাজে, না হবে কোন ফায়দা, শুধু শুধু পরিশ্রম।
তার চেয়ে বরং ভাল লেজারের যে পাতাটি শেষ হয়ে গেছে তার ডেবিট আর ক্রেডিট দু’দিকের যোগফল টেনে দেখা গেল ক্রেডিটের যোগফলের চাইতে ডেবিট বড় যদিও তাদের পার্থক্য সামান্য।
উদাহরণ হিসাবে লেজারের ’মার্টিনো’র হিসাবটি ধরা যাক। তার হিসাবটি লেজারের ৩০নং পাতায় আর সে পাতায় ডেবিট ক্রেডিট দূর কি বাত আর তিল ধারণের জায়াগাও অবশিষ্ট নেই। অব্যবহিত পরবর্তী অব্যবহৃত পাতা আছে যার নম্বর হচ্ছে ৬০।
ধরা যাক তার ডেবিট টোটাল হচ্ছে ৮০ টাকা আর ক্রেডিট টোটাল হচ্ছে ৭২ টাকা। বিয়োগ করলে ডেবিট বড় হয় ৮ টাকা। এই ৮ টাকা ৩০নং পাতায় ’ব্যালেন্স ৬০নং পাতায় স্থানান্তরিত’ আর ৬০নং পাতায় ’৩০ নং পাতা থেকে আগত ব্যালেন্স’ লিখতে হবে।
যার জার্ণালটি হবে:
যখন আপনি এ জার্ণালটিকে লেজারে পোষ্টিং দিবেন, তখন প্রথমে ডেবিট সাইড পরে ক্রেডিট সাইডে একটি পোষ্টিং চিহ্ন দিন। ৬০ নং পাতায় যখন আপনি এন্ট্রিটি দিতে যাবেন তখন যেন পাতার মাথায় মার্টিনে’র নাম আর বছর লিখতে ভুল করবেন না, আর ডেবিট কলামে লিখুন ৮।
একইভাবে, সমস্ত ট্রান্সফারগুলো সারুন। দুই হিসাবের মাঝখানের কোন পাতা বাদ দিবেন না, আর আনীত ব্যালেন্স যখন যা হয় তা লিখে ফেলুন। ফলে অবাঞ্ছিত কেউ আর আপনার খাতায় লিখে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। (চলবে)
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
ফ্রা লুকা ডি প্যাসিওলি’র ‘পার্টিকুলারিস ডি কম্পিউটিস এট স্ক্রিপচার্স’ (এ্যাকাউন্টিং বুকস্ এ্যান্ড রেকর্ডস) এর অধ্যাপক জেরেমি ক্রিপসকৃত ইংরেজি অনুবাদ থেকে বঙ্গানুবাদ https://corporatesangbad.com/480133/ |