এনায়েতপুর থানার কার্যক্রম ভাড়া ভবনে চালু

Posted on August 20, 2024

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হামলা ও অগ্নিসংযোগে সম্পূর্ণ রূপে পুড়ে যাওয়া সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার কার্যক্রম সোমবার সকাল থেকে একটি ভাড়া করা ভবনে পূর্ণাঙ্গ ভাবে চালু করা হয়েছে। এর আগে রবিবার (১৮ আগস্ট') বিকেলে থানার মালামল নিয়ে এ ভবনে ওঠা হয়েছে।

এনায়েতপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন ওসি হাসিবুল্লাহ হাসিব এ তথ্য জানিয়েছেন।

এনায়েতপুর থানার নতুন ওসি হাসিবুল্লাহ হাসিব জানান, ক্ষতিগ্রস্থ থানার দক্ষিণে কেজির মোড় এলাকায় অবস্থিত এনজিও মানব মুক্তি সংস্থার একটি ভবনের সাতটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে এনায়েতপুর থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রুববারেই রুমগুলো ব্যবহার উপযোগী করে বিভিন্ন সংরঞ্জাম গোছানোর কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ থানায় ব্যবহারের জন্য একটি পিকআপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন ও পুরাতন জনবল দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পুরোপুরি মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করতে আরও একটু সময় লাগবে।

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এই থানাটিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে থানা অভ্যন্তরে থাকা পুলিশ সদস্যদের ব্যবহৃত ৪০টি মটরসাইকেল, তিনটি পুলিশ পিকআপ ও সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় পুরো থানা ভবন। এ সময় আন্দোলনকারীদের মারধরে এ থানার ওসি সহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য এবং গুলিতে দুই শিক্ষার্থী ও এক ব্যবসায়ী মিলে মোট ১৮ জন নিহত হয়। ফলে এ থানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় ১০ আগস্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে থানা অভ্যন্তরে সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্দোলনকারীরা থানা পরিচালনায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ২টি, শাহজাদপুর উপজেলার দুািিট ও বেলকুটি উপজেলার একটি ইউনিয়নের আংশিক নিয়ে এনায়েতপুর থানা গঠিত। হামলার সময় এই থানায় ৫৯ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত ছিলেন।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, এনায়েতপুর থানা নতুন করে যাত্রা শুরু করছে। হামলায় মূল থানা ভবন সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আলাদা ভাড়া ভবনে এ থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। হামলার সময় খোয়া যাওয়া অস্ত্র, গুলি ও অন্যান্য সরঞ্জাম গুলোর বিষয়ে এখনো পুনাঙ্গ ধারনা পাওয়া যায়নি। তবে সেগুলোর হিসাব নিরুপনে কাজ চলছে।

এদিকে, একই দিনে উল্লাপাড়া উপজেলা এবং সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশনে থাকা দুইটি ট্রাফিক বক্স ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়ি দেন আন্দোলনকারীরা। সিরাজগঞ্জ আদালত চত্বরের পুলিশ সার্জেন্টের অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করায় তিনটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে। এ ছাড়া হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছিল। এসব স্থানে দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও সার্জেন্টরা নানা সমস্যার মধ্যেও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।'