কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল ফারাবীর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী।
এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবুল কালাম আজাদ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, এনএসআইয়ের তৎকালীন প্রধান জিয়াউল হাসান, তৎকালীন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার, মতিঝিল বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ নাজমুল আলম, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, ওসি ওমর ফারুক, ফরমান আলী বিশ্বাস, হামদাদ গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর মেজর (অব.) ইকবাল, তৎকালীন ওয়ার্ড কমিশনার মনসুর আহমেদ, ইমরান, মতিঝিল থানার ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল হক হিরণ, মোহাম্মদ সাঈদ (কমিশনার), আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার ডলি, মমতাজ পারভীন, আনিসুর রহমান সরকার, আলমগীর হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ এমদাদুল হক ও শেখ শাহে আলম তালুকদার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ব্লগারদের ধর্মীয় অবমাননা ও হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি এবং বাজে মন্তব্য ও লেখালেখির প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি সরকারের কাছে জানায়। সরকার দাবি না মানার কারণে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় অবস্থান নেয়। ৫ মে রাত ১১টা থেকে ৬ মে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে শেখ হাসিনার মদদে অন্যান্য আসামিরা যোগসাজশে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা মিলে নিরীহ মাদরাসার ছাত্র ও পথচারী লোকদের ওপর গণহত্যা চালায়। হত্যা করে সরকারি সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে লাশগুলো অজ্ঞাত স্থানে গুম করে ফেলে।
ওই অভিযানে নিরীহ প্রায় ৩০০০-৩৫০০ জন মানুষকে নির্বিচার গণহত্যার অভিযোগ করেন তিনি।
অবশ্য মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের ভাষ্যমতে, ৬১ জন লোক সেদিন মারা যায়। যদিও সেই প্রতিবেদনের কারণে অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল। আদিলুর রহমান খান বর্তমান সরকারের একজন উপদেষ্টা।
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পদত্যাগের পর ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তার বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা হত্যায় ঢাকাসহ সারাদেশে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের চারদিন পর গত ৮ আগস্ট রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গুলি: শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা https://corporatesangbad.com/479029/ |