এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা নেই: নাহিদ

Posted on August 17, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : এই মুহূর্তে কোন রাজনৈতিক দল গড়ার ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পেয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।

স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, জনগণের সঙ্গে আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা প্রণয়ন করতে চাই। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দল গঠনের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের স্পিরিট রক্ষায় সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করবে এবং সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করবে।

নাহিদ আরও লেখেন, রাজনৈতিক দল গঠন আমাদের গণঅভ্যুত্থানের অভিমুখ না। এই মুহূর্তে প্রয়োজন অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, নতুন করে দেশগঠন-সংস্কার ও অভ্যুত্থানের স্পিরিট ও জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা। ছাত্র-জনতা ও অন্তর্বর্তী সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করবে।

তিনি আরও লেখেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আমাদের এক দফার অংশ ছিলো। সেজন্য বিস্তর কাজ ও রাজনৈতিক কার্যক্রম প্রয়োজন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে যারা দেশ পরিচালনা করছেন তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কও রয়েছেন। তবে গুঞ্জন উঠেছে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স সংবাদও প্রচার করেছে। তবে রয়টার্সে দেওয়া তাদের বক্তব্য ভুলভাবে এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয় করতে গঠিত লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক মাহফুজ আলম।

এদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন. রাজনৈতিক দল খোলার কথা বলা হয়নি! রয়টার্সে দেওয়া আমার বক্তব্য ভুলভাবে এসেছে। আর সে ভুল বক্তব্যের বাজে বা উদ্দেশ্যমূলক অনুবাদ বাংলাদেশি মিডিয়া প্রচার করেছেন।

রয়টার্সে আমার বক্তব্য ছিল, আমরা রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে এখনই ভাবছি না। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য আমরা কাজ করছি। গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রাখা এবং সরকারকে সংহত করা আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। রাষ্ট্র ও সমাজের নানা অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে আমরা আগামী বাংলাদেশের রূপরেখা নিয়ে ও কাজ করবো। এ কাজে অন্তত এক মাস লাগবে। আর, রয়টার্স ও লিখেছে এক মাস পর নির্ধারিত হবে আমরা দল করবো কি করবো না! তবে, রয়টার্স একটি ভুল করেছে, নাগরিকদের বদলে তারা ভোটার শব্দটি ব্যবহার করেছে। অথচ, নির্বাচনী রাজনীতি নিয়ে আমাদের খুব কমই কথা হয়েছে। কৃষ্ণ কৌশিককে আমি লিখেছি, উনি হয়তো এটা এডিট করে দেবেন।

রয়টার্সের সাংবাদিক বারবার জিজ্ঞাসা করছিলেন, দ্বিদলীয় কাঠামো নিয়ে এবং তা উতরে যেতে রাজনৈতিক দল করবো কি না। আমি বলেছি, আমরা দল বা ব্যক্তি নয়, ব্যবস্থার সংস্কার চাচ্ছি। যাতে যে দলই আসুক তাকে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ হতে হয়। কিন্তু, এমনভাবে বলা হলো যেন আমি মাইনাস টু চাচ্ছি। যেটা আমার উদ্দেশ্য না অবশ্যই।

আমাদের এখনকার লক্ষ্য, রাজনৈতিক লড়াইকে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে গঠনমূলক কাজের দিকে চালিত করা। উপযুক্ত সময়ে রাজনৈতিক গঠন/গড়ন কেমন হবে, তা সবাই জানতে পারবেন।