সিরাজগঞ্জে ওসি-সাংবাদিকসহ ২৮ জন নিহত

Posted on August 4, 2024

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারী সিরাজগঞ্জের বিভিন্নস্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাধারণ জনতা এবং জেলা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এই সংঘর্ঘের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১১ জন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মাসুমপুর মহল্লার মাজেদ রহমানের ছেলে ও জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জু রহমান, শহরে গয়লা মহল্লার গনজের আলীর ছেলে সুমন শেখ (২৮), একই মহল্লার মৃত আসু মুন্সীর ছেলে আবদুল লতিফ (৪২)। এছাড়াও রায়গঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেহেদি হাসান ইলিয়াস, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার, ব্রক্ষ্রগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম সোরোয়ার লিটন, ব্রক্ষ্রগাছা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েঢত টিটু, দৈনিক খবর পত্রের রায়গঞ্জ প্রতিনিধি প্রদিপ কুমার, চান্দাইকোন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, শাহজাদপুর উপজেলা এনায়েতপুরের স্বেচ্ছাসেবক দলের, যুগ্ম আহবায়ক খুকনী ঝাউপড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে ইয়াহিয়া (২৫) নিহত হয়েছেন। মাধবপুর গ্রামের খাজা ইউনিভার্সিটি ছাত্র শফিকুল ইসলামের ছেলে শিহাব (২০) নিহত হয়েছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খাঁন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিহত হয়েছে শুনেছি। কিন্তু কয়জন তা এখনো জানা নেই।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদস্য সদস্য জান্নাত আরা তালুকদার হেনরি, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাড়ি, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ শহরের বাজার স্টেশন, এসএস রোড, মুজিব সড়ক, রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এছাড়াও ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটলে পুরো শহর দখল করে নেয় আন্দোলনকারীরা।

জেলা জজ আদালত, এসিল্যান্ড অফিস, মুক্তির সোপান স্মৃতিসৌধ, শিল্পকলা একাডেমিসহ শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এদিকে, এনায়েতপুর থানা, হাটি কুমরুল হাইওয়ে থানা, বেলকুচি ও উল্লাপাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের ডা. রতন কুমার জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ।

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।

এছাড়াও সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলায় ওসি আব্দুর রাজ্জাক সহ ১৭ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডলকে একাধিবার ফোন দিলেও সে রিসিভ করেননি।