অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ

Posted on August 5, 2024

কর্পোরট সংবাদ ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা দাবিকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও কারফিউ জারি করায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল স্থগিত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রোববার (৪ আগস্ট) রাতে ট্রেন চলাচল স্থগিতের বিষয়টি বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁন মুঠো বার্তায় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি আরও বলেন, সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে মো. নাহিদ হাসান খাঁন অনিবার্য কারণবশত রোববার সব রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কথা জানান।

স্বল্প দূরত্বে যাত্রীবাহী ট্রেন বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) থেকে চলাচল শুরু করে। আপাতত কারফিউ শিথিল থাকার সময়টাতে মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করছিল। পরে আন্তনগর ট্রেন চালুরও পরিকল্পনা ছিল। তবে হঠাৎ আবার আজ রাতে অনিবার্য কারণবশত রোববার (০৪ আগস্ট) থেকে সব রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের কারণে ১৮ জুলাই দুপুর থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনার ভিত্তিতে রেল কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। প্রায় ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বের ট্রেনগুলোর চলাচল শুরু করে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেন চলাচল আবার বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে স্বল্প পরিসরে শুরু হবে বলে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রেল মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ১৬ জুলাই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, ময়মনসিংহ ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় ১৮ জুলাই থেকে প্রায় সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো বেশি চলাচল করবে। কারফিউ শিথিল থাকার সময়ে তিন-চার বার যাতায়াত (ট্রিপ) করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন।

রেলওয়ে জানায়, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৪০০টির মতো যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী, বন্ধন ও মিতালি এক্সপ্রেসও রয়েছে। আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় ১০ দিন আগে থেকে। ট্রেনে প্রতিদিন যাত্রী চলাচল করে প্রায় আড়াই লাখ।