আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছোড়া বন্ধের রিট খারিজ

Posted on August 4, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : বিক্ষোভ দমনে বিক্ষোভকারী বা আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে গুলি করার ক্ষেত্রে পুলিশকে আইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ আগস্ট) সকালে রিটটি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।

আদালত বলেছেন, আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। পিআরবিতে বলা আছে, গুলি করার আগে পুলিশকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। জীবন রক্ষার্থে সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পুলিশ গুলি করতে পারবেন। তবে নির্বিচারে গুলি করা যাবে না।

এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ৯ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় করা রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। জেষ্ঠ্য বিচারপতি বলেন, রাজনৈতিক ইস্যু রাজপথে সেটেল হওয়া উচিত।

এরপর শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশের সরাসরি গুলিবন্ধে রিটের শুনানি। শুরুতেই অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, রিট করার নেপথ্যে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। কেননা তারা দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে চায়। পুলিশকে হত্যা করে ঝুঁলিয়ে রাখা হলেও, রিটকারীরা কোনো নিন্দা জানায়নি।

এ সময় রিটকারীর আইনজীবীরা জানান, তারা সব মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সমর্থিত আইনজীবীরা হৈচৈ শুরু করেন। তখন অ্যার্টনি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের লোক শপথ নেয়ার পর আর দলের থাকে না। হাইব্রিড আওয়ামী লীগ ওইদিন আমাকে কোর্টে ঠিকমতো বসতে দেয়নি এবং রিটকারীদেরও কথা বলতে দেয়নি।

এর আগে, গত ১ আগস্ট এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংশিষ্ট আদালতের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতার কারণে ওইদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।

এদিকে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি লাইভ রাউন্ড (তাজা গুলি) ব্যবহার না করার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুলাই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তারা হলেন মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।

রিটে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিচালক, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।