আমি সুস্থ আছি, জীবিত আছি: রুবেল

Posted on July 27, 2024

বিনোদন ডেস্ক: হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল মারা গেছেন। সোশ্যালে বিভিন্ন ব্যক্তি এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও শেয়ার করছেন। বিষয়টি অল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়ে। আসলে এটি কেবলই গুজব ও মিথ্যা। সুস্থ ও ভালো আছেন ‘লড়াকু’ খ্যাত এ নায়ক।

এ ব্যাপারে কথা বলেছেন চিত্রনায়ক রুবেল বলেন, কী এক বিপদে পড়েছি, ফোন দিয়ে সবাই জানতে চাচ্ছেন, মারা গেছি কিনা। আসলে আমার মৃত্যুর খবরটি গুজব। আমি এখনো ভালো এবং সুস্থ আছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানান এ নায়ক।

অভিনেতা রুবেল জানান, বৃহস্পতিবার ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরই তার মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেকেই শেয়ার করেছেন এটা। এসব শেয়ার করার আগে তাদের যাচাই করা দরকার ছিল। এজন্য দু’দিন ধরে শুধু ফোন আর ফোন পাচ্ছি।

রুবেল বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে ফোন দিয়ে শুধু জানতে চাইছেন, আমি নাকি মারা গেছি। আমার স্ত্রীকেও আত্মীয়-স্বজনরা ফোন দিয়ে একই প্রশ্ন করছেন। কেউ বলছেন, দুলাভাই কেমন আছেন। আবার কেউ বলছেন, ভাই-মামা-কাকা কেমন আছেন। আমার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরাও এ ব্যাপারে উদগ্রীব। তবে সবাইকে বলছি, আমি সুস্থ আছি, জীবিত আছি।

রাজধানী ঢাকার নিজ বাসাতেই অবস্থান করছেন চিত্রনায়ক রুবেল। বাসা থেকে খুব একটা বের হচ্ছেন না। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আসলে এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে দেয়া কাঙ্ক্ষিত নয়। এ নিয়ে পরিবারের সব সদস্যরাই চিন্তিত থাকেন। আপনারা লিখুন, আমি সুস্থ আছি, ভালো আছি। আর বাসাতেই আছি।

প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালের ৩ মে বরিশালে জন্ম চিত্রনায়ক রুবেলের। শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লড়াকু’ সিনেমা ছিল এ অভিনেতার প্রথম সিনেমা। প্রথম সিনেমার মাধ্যমেই বাজিমাত করেন। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আর এই সিনেমার মাধ্যমেই কুংফু, কারাতে মার্শাল আর্টের অ্যাকশন দর্শকমহলে জনপ্রিয়তা লাভ করে।

আশি ও নব্বই দশকে ঢাকাই সিনেমায় ব্যাপক মার্শাল আর্ট দেখা গেছে। যা সম্ভব করেছেন এই নায়ক। তার হাত ধরেই ঢালিউডে মার্শাল আর্ট জনপ্রিয়তা লাভ করে।

‘লড়াকু’ সিনেমার পর ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘হুংকার’, ‘বীরবিক্রম’, ‘আমিই শাহেনশাহ’, ‘বিষদাঁত’ সিনেমায় দেখা গেছে নায়ক রুবেলকে। সবগুলো সিনেমাই সুপারহিট। ক্যারিয়ারের ৩৫ বছরে প্রায় ২৫০টি সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক ও পরিচালনায়ও দেখা গেছে তাকে। তার প্রযোজিত ও পরিচালিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘বিচ্ছু বাহিনী’, ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’, ‘টর্নেডো কামাল’, ‘বিষাক্ত চোখ’, ‘সিটি রংবাজ’, ‘চারিদিকে অন্ধকার’।