চুয়াডাঙ্গার উপশম নাসিংহোমে অপারেশনের সময় রোগীর মৃত্যু

Posted on July 27, 2024

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: গভীর রাতে কান্নার আওয়াজে আশপাশ এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় অপারেশন টেবিলেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন চুয়াডাঙ্গার পার্শ্ববতী জেলা মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের সাহানারা খাতুন (৫০)।

জরায়ুর সমস্যাজনীত জরুরী অপারেশনের প্রয়োজন হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ভর্তি করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের উপশম নাসিং হোমে। রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে শুরু হয় অস্ত্রপচার। কিছুক্ষণ পর মারা যান সাহানারা খাতুন। তবে সাহানারা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি প্রথমে জানাজানি না হলেও তার স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় বেশিক্ষণ গোপণ রাখা সম্ভব হয়নি।

চিকিৎসক বললেন, অপারেশন চলাকালীন সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়। সাহানারা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।

সাহানারা খাতুনের বড় বোন নাসরিন খাতুন বলেন, আমার বোন জরায়ুজনীত সমস্যায় ভুগছিলেন। সমস্যা বেশি হলে বৃহস্পতিবার তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের উপশম নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। ওইদির রাতেই তাকে নেয়া নয় অপারেশন থিয়েটারে। অপারশেন চালাকালিন সময়ে আমার বোনের মৃত্যু হয়।

উপশম নাসিংহোমে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাহানারা খাতুনের জরায়ুর অপারেশন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারী কনসালটেন্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় এবং অ্যানেসথেসিয়া করেন ডা. রেজওয়ানুল হক সজিব।

ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, একজন মানুষের জরায়ুতে যতটুকু রক্ষধারণ ক্ষমতা থাকার কথা ওই রোগীর সেই রক্ষধারণ ক্ষমতা ছিল না। সে কারনে তার শরীরে রক্ষ কমে যেত। এ কারনে ওই রোগীর অপারেশন করা হচ্ছিল।

ডা. তন্ময় আরও বলেন, অপারেশন চলাকালীন সময় ওই রোগীর হার্টফেইলিউর ডেভলপ করে। হার্টফেইলিউর ওভারকাম করার জন্য যখন যে ধরনের চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন আমি তার সবই দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
তবে, কোন ক্লিনিকে রোগী মারা গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীর স্বজনদের সাথে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সমঝোতার কারনে অভিযোগ পর্যন্ত গড়াই না। সাহানারা খাতুনের মৃত্যুর পর তার স্বজনদের আচরণ ছিলো সন্দেহজনক। সাহানারা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনায় তারা কোন অভিযোগ করতে চায়নি।